Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কারণে এ পর্যন্ত দেড় শ’ কোটি টাকার বনজ সম্পদ ধ্বংস

ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে সংসদীয় কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কারণে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে জানানো হয়েছে, রোহিঙ্গাদের কারণে এ পর্যন্ত ১৫০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বনজ সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। পাহাড়, জলাশয়, সমুদ্রসৈকতসহ পরিবেশের অন্যান্য খাতের বিপর্যয় নেমে এসেছে। এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটি সদস্য পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, মো. গোলাম রাব্বানী, মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী, টিপু সুলতান ও মো. ইয়াসিন আলী।
কমিটির বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ জানান, মানবিক কারণে সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণও যাচ্ছে। কিন্তু তাদের জ¦ালানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রাকৃতিক বন থেকে তারা জ¦ালানি সংগ্রহ করছে। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। টেকনাফ রুটের গাছগুলো উজাড় হয়ে যাচ্ছে। বন অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত শুধু বনের ক্ষতি দেড় শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। পরিবেশের ক্ষতির হিসাব অনেক বেশি বলে তিনি জানান। রোহিঙ্গাদের কারণে আগামীতে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে। কক্সবাজার অঞ্চলে পর্যটকদের যাওয়ার পরিবেশ নেই। পাহাড়-জলাশয় নষ্ট হচ্ছে। যা উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে। বনের পাশাপাশি পরিবেশের অন্যান্য খাতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করে আগামাী বৈঠকে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে আলোচনা শেষে বনের ক্ষতি কমাতে জ¦ালানিসাশ্রয়ী চুলা সরবরাহের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের জন্য বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট বসানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বনের ক্ষতি ৫০ শতাংশ কমে আসবে বলে জানান কমিটির সদস্য টিপু সুলতান। তিনি আরো জানান, রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার পর যেসব এলাকা ফাঁকা হচ্ছে, সেখানে নতুন করে বনায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ও সেন্টমার্টিন এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে বৈঠকে আগামী ৬ থেকে ১৭ নভেম্বর জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত জলবায়ু ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি এবং ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ