পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের চাকরির বয়সসীমা ৫৯ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ বছর করা হয়। কিন্তু ৪ বছর অতিবাহিত হলে কাগজে কলমে এর প্রতিফল হয়নি। ফলে নিজেদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন বিজ্ঞানীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এর বোর্ড সভায় বিসিএসআইআর কর্মচারী বিধিমালা ২০১৪ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়। এতে বলা হয় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ আইন ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাশ হয়। উক্ত আইনের ৩৩ ধারা মোতাবেক খসড়া বিধি প্রণয়ন করে তা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। সভায় বোর্ড সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে বিসিএসআইআর কর্মচারী বিধিমালা ২০১৪ খসড়া প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু আজও পর্যন্ত মন্ত্রণালয় সেটি আমলে নেয়নি।
অন্যদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের ১৩ জন বিজ্ঞানী দেশের সর্বচ্চো আদালতে রিটপিটিশন দায়ের করে এখনও স্বপদে বহাল আছেন। রিট মামলা থাকায় কনিষ্ঠ গবেষকদের পদোন্নতিসহ গবেষণা কাজে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গত ২৯ আগষ্ট বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ আইন ২০১৩-এর ১২(৪) ধারা বাতিলের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ আইন ২০১৩-এর ১২ (৪) ধারা অনুযায়ী এক জন বিজ্ঞানী চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছরের জন্য আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। বরং তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান। পরবর্তীতে সর্বোচ্চ আদালতে রিট করে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিএসআইআর-এর বেশ কয়েক জন বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, প্রধামন্ত্রীর উপহার স্বরূপ বিজ্ঞানীরা এ সিদ্ধান্তকে সাদরে গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির কারণে কনিষ্ঠ গবেষকদের পদোন্নতিসহ গবেষণা কাজে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টির যে অভিযোগ করা হয়েছে তা যুক্তি সঙ্গত নয়। বিজ্ঞানীরা আরো বলেন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ আইন ২০১৩-এর ১২ (৪) ধারা বাস্তবায়ন হলে দেশের গবেষণা খাত আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।