পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নূরুল ইসলাম : যানবাহন চলাচলে লেন ব্যবহারের জন্য আইন আছে, প্রয়োগ নেই। সড়ক বা মহাসড়কে লেন ব্যবহারের পদ্ধতি কেউই মানে না। যে কারণে এর সুফলও মেলে না। মহাসড়কতো দূরে থাক, রাজধানীর সড়কগুলোতেও দেখা যায়, বড় ট্রাক আর অটোরিকশা একযোগেই চলতে থাকে।
এতে অনেক সময় দ্রুতগামী প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস চালকরা পড়েন বিপাকে। পাশাপাশি মোটরবাইক চালকরা দুর্ঘটনার শিকার হন। এ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চললেও ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ বা হাইওয়ে পুলিশকে তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের বলেন, লেন ব্যবহারের পদ্ধতি না মানানো গেলে এর সুফল মিলবে না। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে সজাগ হতে হবে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। ইচ্ছা হলেই লেন পরিবর্তন করবো, সে মানসিকতা বর্জন করতে হবে।
২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীতে লেন পদ্ধতি মেনে চলার জন্য পুলিশ প্রচারকার্য শুরু করে। নিয়ম অনুযায়ী, রাস্তার ডান পাশে থাকবে প্রথম লেন। মাঝখানে দ্বিতীয় লেন। বাঁ পাশে থাকবে তৃতীয় লেন। প্রথম লেনে কার, মাইক্রোবাস, জিপ ও ভিআইপিদের গাড়ি চলবে। যেসব গাড়ি সামনে গিয়ে ডানে মোড় নেবে সেগুলো এই লেনে থাকবে। মাঝখানের দ্বিতীয় লেনে চলবে বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান। তৃতীয় লেনে অটো রিকশা, হিউম্যান হলার ও টেম্পো চলবে। যেসব গাড়ি সামনের ক্রসিংয়ে বাঁয়ে মোড় নেবে সেগুলো এই লেনে থাকবে। লেনে চলার সময় ওভারটেক করা নিষেধ। যত্রতত্র ইচ্ছামতো লেন পরিবর্তন করা যাবে না। সামনের ক্রসিংয়ে বাঁয়ে বা ডানে মোড় নিতে হলে গাড়িটিকে আগেই বাঁয়ের বা ডানের লেন ধরে চলতে হবে। আর ক্রসিংয়ে বাঁয়ের বা ডানের লেন বন্ধ করে রাখা যাবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়। প্রচারকার্য চালানোর কয়েকদিন লেন মেনে যানবাহন চললে যানজটের অনেক উন্নতির পাশাপাশি দুর্ঘটনার হারও কমেছিল। কয়েকদিন এভাবে চলার পর সেই নিয়ম শুধু কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। এখন আর এ নিয়ম কেউ মানে না।
মহাসড়কে লেন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানা হয় না। যার যখন খুশি ওভোরটেক করার প্রবণতা দেখা যায়। এক্ষেত্রে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকগুলো সব সময় অতি গতিতে ওভারটেকের মাধ্যমে লেন পরিবর্তন করে বিপদ ডেকে আনে। মহাসড়কে সংঘটিত ভয়াবহ দুর্ঘটনার বেশিরভাগই ঘটে ওভারটেক ও লেন পরিবর্তন করতে গিয়েই। বিশেষ করে, যে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নেই সেই সব সড়কে দুর্ঘটনার হার বেশি। লেন ব্যবহারের জন্য রাজধানীর রাস্তাগুলোতে সাদা দাগ দিয়ে ‘মার্কিং’ করা ছিল। এখন অধিকাংশ রাস্তার সেই দাগও মুছে গেছে। চালকের ইচ্ছে মতোই চলছে যানবাহন। ট্রাফিক পুলিশের উদাসীনতায় অনেক সময় রিকশাও প্রথম লেনে চলাচলের সুযোগ নিচ্ছে। এ ব্যাপারে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, আইন তো আছেই। অনেকেই তা মানছেন না। ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।