বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : পাঁচ দিনেও ধরা পড়েনি মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাসের খুনিরা। চাঞ্চল্যকর এই খুনের কয়েক ঘন্টার পর নগর পুলিশের কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন খুনিরা চিহ্নিত হয়েছে। তাদের গ্রেফতার সময়ের ব্যাপার মাত্র। অথচ ৫দিনেও খুনিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মী বিক্ষুদ্ধ। এদিকে সুদীপ্তের খুনিদের গ্রেফতারে পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে নগর ছাত্রলীগের বর্তমান ও প্রাক্তন নেতারা। এর মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা না হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সুদীপ্ত বিশ্বাসকে হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর সভাপতিত্বে সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিসহ নগর ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য দেন। কয়েকজন সাবেক নেতাও এসময় বক্তব্য দেন। ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, সুদীপ্ত হত্যাকান্ডের পাঁচদিন পরেও পুলিশ এখনও কোনো খুনিকে গ্রেফতার করেনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খুনিদের বিষয়ে তথ্য বের হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে খুনিদের চিহ্নিত করার কথা বলা হলেও রহস্যজনকভাবে নিরবতা পালন করছে পুলিশ। এতে করে খুনিরা প্রশ্রয় পাচ্ছে। তাই আমরা পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দিলাম। এর মধ্যে সুদীপ্তের খুনিদের গ্রেফতার করা না হলে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। তারা বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি দেখা না যাওয়ায় ছাত্রলীগের অন্য নেতাকর্মীরাও তাদের জীবন শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। চট্টগ্রাম যেন ছাত্রলীগ নেতার লাশের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
গত শুক্রবার নগরীর নালা পাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নগর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস রুবেলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। খুনের পর পর সুদীপ্তের অনুসারী ও নগর ছাত্রলীগের নেতারা এই খুনের জন্য ছাত্রলীগের একটি অংশকে দায়ী করে আসছে। খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে তারা প্রতিদিনই কর্মসূচি পালন করছে। সোমবার নগরীর মুসলিম হলে আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণসভায় যোগ দিতে এসে ছাত্রলীগের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি খুনিদের গ্রেফতার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। তবে এখনও কোন খুনি ধরা পড়েনি। নগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, খুনিরা চিহ্নিত হলেও তাদের ধরে নতুন করে ঝামেলায় পড়তে চান না তারা। কারণ দুই পক্ষেই প্রভাবশালী নেতারা আছেন। শুরুতে পুলিশ খুনিদের ধরতে তৎপর হয়ে উঠলেও নানামুখি চাপে পরে তাদের আগ্রহ কমে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।