বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোকে ঘিরেই চলছে অবাধে মাদক ব্যবসা। প্রতিদিন আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা। নতুন পুরাতন রোহিঙ্গারা জড়িয়ে পড়ছে নানান অপরাধে। এদের কারণে এখানকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতন বন্ধ না হলেও বাংলাদেশে প্রতিদিন ঢুকছে লাখ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক কড়াকড়ির কারণে নৌ-পথে আসা রোহিঙ্গারা ইয়াবা বহন করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন, সীমান্ত এলাকায় নানান অপরাধের সাথে জড়িত রোহিঙ্গারা। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কম টাকায় তাদের ব্যবহার করছেন। তবে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সবসময় ধরাছোয়ার বাহিরে থেকে যায়। উখিয়া-টেকনাফের ১২ টি পয়েন্ট দিয়ে আসছে ইয়াবা ট্যাবলেট। শরণার্থী ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করার কারণে এখানকার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে রোহিঙ্গাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এ সুবাধে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদেশে পালিয়ে আসার সময় কোন রোহিঙ্গাদের তল্লাশী করছেন না কোন আইনশৃংখলা বাহিনী। এ সুবাধে ঢুকছে ইয়াবা, ফেন্সিডিলসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা। গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার থেকে রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঢল নামে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে। স¤প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের জন্য বড় উদ্বিগ্নের কারণ হচ্ছে এত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মাদক ও অস্ত্রের চালান আসতে পারে। যা বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি কারণও হতে পারে।
জানা গেছে, ১২ টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এদেশে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিশেষ করে ইয়াবা ও অস্ত্র। এসব পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন আসছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। পয়েন্ট সমূহ উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী, রহমতের বিল, উত্তর রহমতের বিল, ধামনখালী, আঞ্জুমান পাড়া, ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্র“, মাঝের পাড়া, ঘুমধুম, জলপাইতলী, বাইশপারী, রাজাপালং ইউনিয়নের, রেজু আমতলী, ডেইল পাড়া, করইবনিয়া। এসব পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা ও রোহিঙ্গা আসছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর র্যাব-৭ ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে টেকনাফের শাহপূরীর দ্বীপ গভীর সমুদ্রে একটি মাছ ধরার ট্রলারে অভিযান চালিয়ে ৮ লাখ ইয়াবাসহ ৪ জনকে আটক করে। তৎমধ্যে ৩ জনই মিয়ানমারের নাগরিক। এরা মিয়ানমারের মংডু হাশ্চরাতা গ্রামের আবুল বছরের ছেলে হাফিজুলাহ (২৪), বুচিদং কিতার বিল গ্রামের মৃত নজু মিয়ার ছেলে মোঃ জামিল (২৪) ও মংডু নারিয়ার বিল গ্রামের মৃত হোছন আলীর ছেলে বদিউল আলম (৪৫)।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর টেকনাফের বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা নাফ নদীর কিনারে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার ৯শ’ ২৫ পিস ইয়াবাসহ ৩ মিয়ানমার নাগরিককে আটক করেছে। আটককৃতরা হল মিয়ানমারের মংডু আশকি পাড়ার ইউছুপ আলীর ছেলে মোঃ ফয়সাল (২০), নাপিতের ডেইল গ্রামের ফয়েজ আহমদের ছেলে মোঃ আলী (২০) ও রশিদ আহমদের ছেলে আবদুল নবী। মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টের সুবেদার নজরুল ইসলাম বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে প্রতিদিন অভিযান চলছে। গত ১ দিন আগে ইয়াবা সহ ১ রোহিঙ্গারা নারীকে আটক করি। র্যাব- ৭ এর কোম্পানী কমান্ডার রুহুল আমিন বলেন, ইয়াবা সহ সব ধরনের মাদক জব্দ করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। কোন অবস্থাতেই মাদক ব্যবসায়ীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।