পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আল্লামা প্রিন্সিপাল শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী বলেছেন, শান্তিময় মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রয়োজন ব্যক্তিচরিত্রের আমূল পরিবর্তন। এর জন্য দরকার আধ্যাত্মিক জাগরণের মাধ্যমে ইসলামী আদর্শের বাস্তবায়ন। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদে কাগতিয়া আলীয়া দরবার শরীফ কমপ্লেক্স ময়দানে অনুষ্ঠিত তরিক্বত কনফারেন্সে লাখো নবীপ্রেমিক মুসলমানদের উদ্দেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সিরিয়া, মিয়ানমারসহ পুরো বিশ্বে মুসলমানেরা আজ নানাভাবে নিগৃহীত। নানা ধরনের ভ্রান্তি ও চক্রান্তের ফলে মুসলমানদের মধ্যে বাড়ছে বিভেদ। এ চিত্রের অবসান ঘটাতে মুসলমানদের রূহানীশক্তিতে জাগ্রত হয়ে কোরআন-সুন্নাহ্র পূর্ণ অনুসরণ করতে হবে। ছাত্র ও যুব সমাজের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, কাগতিয়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতার জীবন-কর্ম, তরিক্বত ও দর্শন অনুসরণ-অনুকরণে সুন্দর চিন্তা-চেতনা ও সাফল্যে ভরে ওঠবে ছাত্র-যুবকের গোটা জীবন।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর। কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর। কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ. কে. এম. ছায়েফ উল্যা, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এর মহাসচিব হযরতুলহাজ্ব প্রিন্সিপাল আল্লামা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, ভান্ডারীয়া দরবার শরীফের পীর ছাহেব ও ভান্ডারীয়া ছিদ্দিকীয়া ফাযিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আবুল ইরশাদ মুহাম্মদ সিরাজুল মুনির, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যায়ের সহকারি পরিদর্শক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর এ.কে.এম. ছায়েফউল্লাহ বলেন, হতাশাগ্রস্থ ও পথভ্রষ্ট যুবকদের আলোর পথ প্রদর্শনে কাগতিয়া দরবার ও মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
প্রিন্সিপাল আল্লামা শাব্বির আহমদ মোমতাজী বলেন, ইসলামের খেদমতে ও শিক্ষার প্রসারে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আল্লামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আবুল মনছুর বলেন, তাঁরই যোগ্য উত্তরসুরী ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
বক্তব্য রাখেন আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম হানফি, আল্লামা মুফতি আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকি, আল্লামা মোহাম্মদ আশেকুর রহমান, আল্লামা এমদাদুল হক মুনিরী, আল্লামা মুহাম্মদ সেকান্দর আলী ও আল্লামা মুহাম্মদ ফোরকান। কনফারেন্সে দেশবরেণ্য বহু ওলামায়ে কেরাম, শিক্ষাবিদ, শহরের গন্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক ছাড়াও সর্বস্তরের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান উপস্থিত ছিলেন। মাগরিবের আগেই কনফারেন্সস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
মিলাদ ও কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্র ঐক্য, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি, অসহায় নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।