পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘প্রতিবাদের শেষ পথ-অস্ত্র হাতে রাজপথ’ মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস রুবেলের খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে এ সেøাগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে সুদীপ্তের খুনীরা চিহ্নিত হলেও ধরা পড়েনি। পুলিশ বলছে, খুনী কারা তাদের নাম-পরিচয় পুলিশের হাতে। কিন্তু তাদের পেছনে সরকারি দলের নেতাদের মদদ থাকায় তাদের ধরা যাচ্ছে না। চার দিনেও খুনীরা ধরা না পড়ায় বিক্ষুব্ধ সুদীপ্ত বিশ্বাসের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে খুনীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়ার দাবি জানান। তাৎক্ষণিক তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
শুক্রবার নগরীর সদরঘাট এলাকায় নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। ছাত্রলীগের সিটি কলেজ কেন্দ্রীক বিরোধের জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়। খুনীরা আওয়ামী লীগের এক নেতার আশ্রয়ে রয়েছেন এটাও প্রায় নিশ্চিত পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে তাদের কাউকেই পুলিশ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। সুদীপ্তের খুনীরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্রলীগের একাংশ।
গতকাল বিকেলে নগরীর মুসলিম হলে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের। তার বক্তব্যের শুরুতেই সেখানে থাকা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সুদীপ্তের খুনীদের বিচারের দাবিতে সেøাগান শুরু করে। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, তোমাদের আবেগ আমি বুঝি। তবে এটি একটি স্মরণসভা। এখানে এ ধরনের সেøাগান দেয়া ঠিক হচ্ছে না। তোমাদের কোন কথা থাকলে স্মরণসভা শেষে আমার সাথে কথা বল। এতেও তারা শান্ত না হলে তিনি তার বক্তব্য চালিয়ে যান।
অনুষ্ঠান শেষে ওবায়দুল কাদের মুসলিম হল ত্যাগ করার প্রাক্কালে বিপুল সংখ্যক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাকে ঘিরে সেøাগান দিতে শুরু করেন। ‘প্রতিবাদের শেষ পথ-অস্ত্র হাতে রাজপথ’ সেøাগানে এলাকা মুখরিত করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। বিক্ষোভের মধ্যে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি গিয়ে গাড়িতে বসা ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলেন। তারা সুদীপ্ত হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশকে নির্দেশ দিতে বলেন। ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ করেন, সুদীপ্তের সন্দেহভাজন খুনীদের পক্ষ নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পাঁচজন কাউন্সিলর পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে খুনীদের পার পেয়ে যাওয়ার শংকা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ছাত্রলীগ কর্মীদের বিক্ষোভ সেøাগানের পর ওবায়দুল কাদেরের আশ্বাসে তারা শান্ত হয়। জানা গেছে, এরপর ওবায়দুল কাদের মামলার তদন্ত ও আসামীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশকে নির্দেশনা দেন। ছাত্রলীগ নেতারা জানান, সুদীপ্ত হত্যার বিষয়টি ওবায়দুল কাদেরকে জানিয়েছেন তিনি পুলিশকে খুনীদের ধরতে নির্দেশ দিয়েছেন। কারা খুনীদের পক্ষ নিয়েছে তাদের নাম-ঠিকানাও তাকে জানানো হয়েছে বলে জানান ছাত্রলীগ নেতারা। এদিকে সুদীপ্ত হত্যার মামলা তদন্ত তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। যেকোন সময় তারা ধরা পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।