Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কচুতে সাফল্য এলো মীরসরাইয়ের দুই কচুয়া গ্রামের

| প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে আমিনুল হক : কচুর সুখ্যাতির জন্যই মীরসরাই উপজেলার দুই ইউনিয়নে ‘কচুয়া’ নামে দুটি ভিন্ন গ্রাম রয়েছে। ১১ নম্বর মঘাদিয়া ও ১৪ নম্বর হাইতকান্দি ইউনিয়নের এই দুটি গ্রামে এবারো লতিরাজ কচুসহ বিভিন্ন জাতের কচুর ফলনে সাফল্যে হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকদের মুখে। সবজি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের অনেক গ্রামে কচু আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শত শত কৃষক। উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের একটি ও হাইতকান্দি ইউনিয়নের একটি গ্রামের নামই কচুয়া। কচুয়া গ্রামের শত শত পরিবার ভাদ্র আশ্বিন মাসে ব্যস্ত থাকে শুধু বড় বড় কচু ক্ষেত নিয়ে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একেক কচুচাষির ক্ষেত থেকে হাজার হাজার কচু তুলে নিচ্ছে কৃষকেরা। কোথাও কোমর পানি, কোথাও হাঁটুর ওপরের পানিতে দাঁড়িয়ে জমি থেকে বড় বড় কচুগুলো কেটে ওপরের কিছু পাতা ছেটে বিশালাকার কচু স্ত‚পাকারে থেকে চলে যাচ্ছে ৫০-১০০টির আঁটিতে। সেখান থেকে সিএনজি বা ভ্যানে করে মহাসড়কের হাটে। সেখান থেকে পাইকারদের ট্রাকে ঢাকা চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণীর হোটেল ও রেস্তোরাঁয়।
কচুয়া গ্রামের পাশাপাশি উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার প্রায় অনেক গ্রামে এখন কচু চাষ করছেন কৃষকরা।
মীরসরাইয়ের আবাদকৃত কচুর যথেষ্ট সুনাম আছে। তাই এখানকার কচু বাজারে সরবরাহ বেশ। মীরসরাই-মলিয়াইশ রুটের পাশে নাজিরপাড়ায় পোদ্দার তালুক গ্রামের আবুল হোসেন ৪৫ শতক জমিতে ১৩ হাজার কচুর একাংশের উত্তোলন করছিল শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম ও চাঁনমিয়াসহ অনেকে। বৃদ্ধ চাঁনমিয়া বলেন, প্রতিটি কচু পাইকারি ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে। মোট কচু বিক্রয় হবে এবার প্রায় চার পাঁচ লাখ টাকার মতো। তবে অর্ধেক চলে যাবে চাষাবাদ, শ্রমিক ও যাতায়াত ব্যয়ে।
কচু পরিস্কারে ব্যস্ত হোসাইন মিয়া বলেন, ‘এখন শুধু এই গ্রামে না আসে পাশের সব গ্রামেই অনেক জাগয়া কচুর চাষ হচ্ছে। প্রতিদিন দিনভর কচু পরিস্কার করে বেঁধে নিয়ে সবাই পরদিন সকালে হাটে নিয়ে যায় পাইকারদের কাছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মদ জানান, মীরসরাইয়ের অনেক এলাকায় বর্ষাকালীন সময়ে কচু চাষের যথেষ্ট উপযোগী। ইতোমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে দেশি কচুর পাশাপাশি আমরা লতিরাজ নামের একটি কচু কৃষকদের ফলনের পরামর্শ দিয়েছি। যার সুফল এখন সংযোজন হলো দেখে আমিও আনন্দিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ