Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুপচাঁচিয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অপহরণের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : দুপচাঁচিয়া পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাসাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে শহর থেকে ফিল্মি কায়দায় অপহরণসহ মারপিট করে গুরুতর জখম করা হয়েছে। বর্তমানে সে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুরুষ অর্থোসার্জারী ওয়ার্ড নং-৭ এক্স-২৩ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ অক্টোবর বুধবার দুপুর দেড়টায়। এ সংক্রান্তে বগুড়া সদর থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আবুল বাসারের থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের বেড়–ঞ্জ গ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে মশিউর রহমান সুজন (৩২) তার কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করতো। তিনি চাঁদা অস্বীকৃতি জানায়। এতে মশিউর রহমান সুজন হয়রানির উদ্দোশ্যে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বগুড়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট “খ” অঞ্চল আদালতে কার্য বিধি ১০৭/১১৭ (সি) ধারায় ৩৮৬ পি/১৭ (দুপঃ) মামলা করেন। ঘটনার দিন গত ৪ অক্টোবর বুধবার প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার উক্ত মামলায় হাজিরা দিয়ে লিখিত জবানবন্দী প্রদান করেন। আদালত থেকে বের হয়ে রিক্সযোগে জেলা শিক্ষা অফিসে যাওয়ার পথে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠের দক্ষিণ ধারে মসজিদের পার্শ্বে দুপুর দেড়টার সময় পৌছিলে ওই মশিউর রহমান সুজনের নেতৃত্বে পেছন থেকে এসে ৪ টি মোটর সাইকেলসহ অপরিচিত ৭ জন তাকে ঘিরে ধরে এবং কোন কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই ফিল্মি কায়দায় প্রধান শিক্ষক আবুল বাসারকে একটি মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। এ সময় তার পিঠে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে বলে। মশিউর রহমান সুজন ওই মোটরসাইকেলের পেছনে বসে দ্রæত চলে যায়। তাকে রহমান নগর মৌ নার্সিং ক্লিনিকের প্রাচীর ঘেরা একটি খালি জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে ৩ টি ১০০ টাকা মূল্যের অলিখিত ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে। প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বাঁশের লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি দ্বারা এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে। এক সময় সে মাটিতে পড়ে গিয়ে চিৎকার করতে থাকলে পার্শ্ববর্তী কোন এক ব্যক্তি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই আসামিরা তার ২ টি মোবাইল ও পকেটে থাকা পঁচিশ হাজার টাকা নিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়। পুলিশের সহায়তায় তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সংক্রান্তে গত ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মশিউর রহমান সুজন সহ অজ্ঞাতনামা ৭ জনের বিরুদ্ধে বে-আইনী জনতাবদ্ধ হয়ে পথরোধ করে অপহরণ পূর্বক হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অপরাধে বগুড়া সদর থানায় মামলা (যাহার নং-২০/১০৯২) দায়ের হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার মামলার তদন্তকারী ইন্সপেক্টর মোঃ তারিকুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মামলা গ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত করে “দৈনিক ইনকিলাব” কে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ