বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার মেয়র মো. মাঈন উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মেয়র মাঈন উদ্দিনকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। তবে প্যানেল মেয়র হিসেবে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেনকে আগামীকাল রোববার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নায়ন ও সমবায় মন্ত্রালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ সচিব আবদুর রউফ মিয়া’র স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেন। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (১) (ঘ)-এ বর্নিত অপরাধের দায়ে অপসারনের এ আদেশের কপি বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মেইলে যোগে পৌছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহীন তানভীর গাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সম্প্রতি নবীনগর পৌরসভার ১০ কাউন্সিলর মেয়রের বিরুদ্ধে ১০টি সু-নির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিত অভিযোগ করে। তাদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৮টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে সাময়িক এ বরখাস্তের আদেশ দেন। চলতি বছরের ১১ মে নবীনগর পৌরসভার ১২ কাউন্সিলরের মধ্যে ১০ জন কাউন্সিলর মেয়র মাঈন উদ্দিনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ওই লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর নবীনগর পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রায় আড়াই বছরে দুর্নীতির মাধ্যমে মেয়র মাঈন উদ্দিন কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে স্থানীয় সাংসদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে বাস্তবায়িত পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মাঝিকাড়া গ্রামের ইদন মিয়ার বাড়ি থেকে আলীয়াবাদ পশ্চিমপাড়া পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পটি পৌর কাউন্সিলরদের না জানিয়েই কথিত টেন্ডার (দরপত্র) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৯ টাকা আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পৌরসভার নিজস্ব দুটি রোলার মেশিনের ভাড়া বাবদ ৩৬ লাখ টাকা পৌর তহবিলে জমা না দিয়ে মেয়র নিজেই সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। রাজস্ব তহবিল থেকেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্পের বিপরীতে ৬২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মেয়রের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে পৌরসভার ৯টি কসাইখানা থেকে আদায়কৃত রাজস্বের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে ১৭ কর্মচারীকে মাস্টাররোলে কাল্পনিক নিয়োগ দেখিয়ে তাদের মাসিক বেতন ৯৮ হাজার টাকা পৌর মেয়র আত্মসাৎ করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
বরখাস্তকৃত মেয়র মাঈন উদ্দিন মাঈনু বলেন, আমি বিএনপি রাজনীতিতে যুক্ত বিধায় বিএনপি’র মেয়র হিসাবে প্রতিহিংসায় মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে অন্যায় ভাবে একটি কুচক্রী মহল আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ ধরনের অভিযোগ আনে। ক্ষমতার জোরে বিধি বহিূতভ’তভাবে র্ভূতভাবে বিএনপি করি বিধায় এ বরখাস্ত করা হয়েছে। নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা সালেহীন তানভীর গাজী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মনের অভিযোগ তদন্ত করেই মেয়র মাঈন উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত স্থলে প্যানেল মেয়র কবির হোসেন দায়িত্ব পালন করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।