Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ছাতকে চেলা নদী বালু মহালে চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি

পাঁচ সহস্রাধিক বারকি শ্রমিক বেকার

| প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেণা সংবাদদাতা : ছাতকে ৩টি উপজেলা প্রশাসনের ইজারার নামে চেলা ও মরাচেলা বালু মহালে প্রতি ঘনফুটে জোরপূর্বক ৩ গুণ রয়্যালিটি আদায়ের পরও টোকেনের মাধ্যমে চলছে বেপরোয়া চাদাঁবাজি। এসব চাঁদাবাজির টাকা বিভিন্ন হাত হয়ে জেলা-উপজেলা, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসন, এসিল্যান্ড, তহশীলদার, জনপ্রতিনিধি, দালাল, মাস্তান, স্থানীয় প্রভাবশালী ও পুলিশ-বিজিবির ক্রিমিনাল সোর্সদের পকেটে চলে যাচ্ছে। ছাতক, কোম্পানীগ ও দোয়ারা উপজেলা প্রশাসনের নামে এ চাঁদাবাজি চলছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, ছাতক বাজার একতা বালু উত্তোলন ও সরবরাহকারি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি সমবায় সমিতি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে ১৪২৩বাংলায় এক লিখিত আবেদনে ১৪২৪বাংলার জন্যে চেলা নদী বালুমহাল ইজারা দেয়ার আগে ৫দফা দাবিনামা পেশ করেন। ৫দফার মধ্যে প্রতি ঘনফুট বালুর রয়্যালিটি ৩০পয়সা নির্ধারণ, একই নদীতে রয়্যালিটি আদায় করা সত্বেও পৃথক ৩টি উপজেলা ট্যাক্স বাতিল, শ্রমিকের নিরাপত্তায় নদীতে সর্বদা পুলিশী টহল জোরদার ও বালু উত্তোলন নীতি তৈরির দাবি করা হয়। কিন্তু ১৪২৪বাংলার ইজারা ক্ষেত্রে শ্রমিকের এসব দাবির প্রতি কোন তোয়াক্কা করা হয়নি। এরপরও অতিরিক্ত রয়্যালিটি আদায় ও অবৈধ ট্যাক্স আদায় অব্যাহত থাকলে এসব বন্ধের জন্যে পূনরায় জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসন থেকে কোন সূরাহা না হওয়ায় একতা বালু উত্তোলনকারি সমিতির নেতৃবৃন্দ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট আবেদনের জন্যে আদালতের শরনাপন্ন হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে উকিল নোটিশ প্রেরণ করেন। এ উকিল নোটিশের প্রেক্ষিতে ২৪আগষ্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমিতির নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের (এসএ শাখার) স্মারক নং-০৫.৪৬.৯০০০.০৮.০০১.০২৯.১২-২৬৭২ (৪) তাং ৩১.০৮.২০১৭ইং মূলে চেলা নদী ও মরাচেলা নদী বালু মহালে রয়্যালিটির হার নিধারণও অবৈধ ট্যাক্স আদায় বন্ধ করণের জন্যে ছাতক ও দোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অতি জরুরী ভিত্তিতে সভা আহবান করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জেলা প্রশাসকও পুলিশ সূপারকে অবহিত করার জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অতিরক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাবেরা আক্তার স্বাক্ষরিত নির্দেশ নামার একমাস পরও এব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এখনো প্রতি ঘনফুট বালুর রয়্যালিটি ৩০পয়সার স্থলে জোরপূর্বক ১টাকাও ৩টি উপজেলার নামে প্রতি ট্রিপে নৌকা থেকে ৮০থেকে ১শ’ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এদিকে গত আগষ্ট থেকে চেলা নদীর ইজারাদার জাকির হোসেন ইজারা চুক্তি ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এতে চেলা নদী ভিত্তিক প্রায় ৫সহ¯্রাধিক বারকি শ্রমিক বেকার হওয়ার আশংকায় তাদের মধ্যে চরম অসন্তুাষ বিরাজ করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ