Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তানোরে আমন চাষে পার্চিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

| প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


তানোর (রাজশাহী) থেকে মমিনুল ইসলাম মুন : রাজশাহীর তানোরে আমনখেতের পোকা দমনে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা জমিতে কিছু দুর পর পর ধঞ্চে, কলাগাছ ও গাছের ডাল পুঁতে দিচ্ছেন। ধানখেতে পুঁতে রাখা এসব গাছ ও ডালগুলোতে বিভিন্ন রকমের পাখি বসছে এবং ধানখেতের পোকা ধরে খাচ্ছে। ফলে কীটনাশক ও বিভিন্ন ধরণের ওষুধ ছাড়াই পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছ রক্ষা পাচ্ছে। ফসলের জমিতে পাখি বসার উপযোগী গাছ ও ডাল পুঁতে পোকা দমন করার এ পদ্ধতির নাম পার্চিং পদ্ধতি বলে কৃষিবিদরা জানিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে এই পদ্ধতি স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ফলে ফসলের পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে আমণ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এলাকার অধিকাংশ আমণখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। উপজেলার তাঁতিহাটি গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) বলেন, আমারে এলাকার সব জমিতে পুকা লাগিছে। এমনিতে এ বছর ধানের বিছন (চারা) কিনতে যায়া মেলা ট্যাকা খরচ করিছি। এখন ধানের জমিত পুকা লাগিছে কিšত্ত বিষ ও ওষুদ কিনার লগদ ট্যাকা নাই। উপজেলা কৃষি কর্মবর্তা শফিবুল ইসলাম স্যারের কাছে গেলে তিনি আমাকে জমিত বিভিন্ন গাছের ডাল পুঁত্যা র‌্যাকতে বুলিছে। স্যারের কথা শুন্যা জমিত ডাল পুঁত্যা রাখিছি। আমি মেল্যা উপকারও পালসি। আমার জমিত এখন পুকার আক্রমণ ম্যালা কম্যা গেলছে। তানোরের গোল্লাপাড়া গ্রামের স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত আদর্শ কৃষক নুরমোহাম্মদ (৪৫) বলেন, এ পদ্ধতিতে পোকা দমন আমাদের এলাকায় প্রায় নতুন। তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে পোকা দমন করায় ফসলে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। ফলে শ্রম ও আর্থিকভাবে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে। যে কারণে পার্সিং পদ্ধতিতে ফসলের পোকা দমন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি এ পার্চিং পদ্ধতিতে পোকা দমনের বিষয়ে ব্যাপক-প্রচার ও প্রচারণার দাবি জানান। তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, তানোরে কৃষকদের কাছে পোকা দমনের পার্চিং পদ্ধতি অনেকটা নতুন। এলাকার অধিকাংশ আমণক্ষেতে ইতমধ্যে পার্চিং পদ্ধতিতে পোকা দমন করা হচ্ছে। এটা পরিবেশবান্ধব এবং এই পদ্ধতি ব্যবহারে জমিতে ক্ষতিকারক কীটনাশক ব্যবহার কমবে। এছাড়াও কৃষকরা অতিরিক্ত অর্থখরচ ও শ্রম দুটি বিষয়ে উপকৃত হবে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কৃষকদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য কৃষি বিভাগ থেকে ব্যাপকভাবে প্রচারণা করা হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ