বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সারা দেশে প্রায় এক লাখের বেশি চাল ও গমের ব্যবসায়ী থাকলেও এদের বেশির ভাগেরই নেই লাইসেন্স। খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এইসব ব্যবসায়ীদের মধ্যে মাত্র ৪০ হাজার ব্যাবসায়ীর চাল বা গম কেনা-বেচার লাইসেন্স রয়েছে। সেই হিসেবে বর্তমানে দেশে কমপক্ষে ৬০ হাজার চাল ও গমের ব্যবসায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা করে যাচ্ছে। আর এ কারণেই অবৈধভাবে খাদ্য শস্য মজুদ করে দেশে কৃত্রিম খাদ্য সংকট তৈরির প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছে খাদ্য অধিদপ্তর। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, দেশে এখন মাত্র ৪০ হাজারের মতো ব্যবসায়ী আমাদের অনুমোদন নিয়ে চাল-গম বিক্রি করছে। কিন্তু ৬০ হাজারের ব্যবসায়ী লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করে যাচ্ছে। তবে এই মাসের মধ্যে তারা লাইসেন্স না নিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান কাজী নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, শিগগিরই তাদের একটি কঠোর নীতিমালার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এদিকে দেশে স¤প্রতি দেখা দেখা খাদ্য সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারের তরফে ব্যবসায়ীদের দায়ী করে চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যে সকল চাল ও গম ব্যবসায়ীদের জন্য লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত ২ অক্টোবর খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ঘোষণা দেন যে, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে চাল ও গমের খুচরা, পাইকারি ব্যবসায়ী এবং আমদানিকারকেরা লাইসেন্স না নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, যারা আইন অনুযায়ী লাইসেন্স নেননি আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। না হলে ১৯৫৬ সালের কন্ট্রোল অব অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটির অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, ১৯৫৬ সালের কন্ট্রোল অব অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটির অ্যাক্ট অনুযায়ী এক মেট্রিক টনের বেশি চাল ও গম ব্যবসায়ীদের খাদ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।