বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামে সেবাদানকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের সরকার অনুসৃৃত নীতিমালা ও উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা তাগিদ দিয়ে বলেছেন এক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের মূলোৎপাটন করতে হবে। তিনি বলেন, এ সকল সংস্থার একশ্রেণির অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি-অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ায় নগরবাসীর নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
গতকাল (শুক্রবার) সকালে তার চশমা হিলস্থ বাসভবনে চট্টগ্রাম মহানগরীর নাগরিক দুর্ভোগ লাঘব ও সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দের সাথে মতবিনিয়কালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। এই দলের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পথে অদক্ষতা, পরিকল্পনাহীনতা ও সমন্বয়ের অভাবে দৃশ্যমান নাগরিক দুর্ভোগ প্রকট হয়ে উঠেছে। নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাপন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যারা দল থেকে মন্ত্রী, এমপি, জনপ্রতিনিধি হয়েছেন তাদের অনেকেই এখন ব্যক্তিগত আখের গোছানোর প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার সমস্যা, ভুল-ভ্রান্তি, অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়গুলো তুলে ধরে অবিলম্বে সমাধানের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো আমার এ আর্জি ও আকাক্সক্ষাকে তারা বাঁকা চোখে দেখেছেন।
আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, জনগণের সাথে থেকে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে আমার বেড়ে ওঠা। কেউ যদি জনগণের মনের ভাষা পাঠ করতে না পারেন এবং ক্ষমতার অহংবোধে ভোগেন তিনি কিছুতেই রাজনীতিক হতে পারেন না। তাই আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মনগড়া হালনাগাদ গৃহকর এসেসমেন্ট অযৌক্তিক এবং নিবর্তনমূলক। নগরীর পানিবদ্ধতা, সড়ক যোগাযোগের বেহাল অবস্থা নিরসন ও প্রায় অর্ধেক ওয়ার্ডে নাগরিক সুবিধা-সেবার মান নিশ্চিত না করে ঢালাও ভাবে কয়েকগুণ বেশি গৃহ কর ধার্য্য করা নগরবাসীর গলাকাটার সামিল। এর বিরূপ প্রভাবে আজ নগরবাসী সংক্ষুব্ধ।
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বিশাল অংকের উন্নয়ন বরাদ্দ দিয়েছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কয়েকটি উড়াল সেতু বাস্তবায়িত করার ফলে কিছুটা সুফল এলেও বহদ্দারহাট থেকে লালখান বাজার, বহদ্দারহাট থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা ও কর্ণফুলী দ্বিতীয় সেতু পর্যন্ত যানবাহন চলাচল কয়েক বছর ধরে বেহাল হয়ে পড়েছে। উড়াল সেতুর নিচে দু’পাশে রাস্তাগুলোর সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য একই প্রকল্পে আলাদা বরাদ্দ থাকলেও এই সড়কগুলো চলাচলের ক্ষেত্রে অনুপোযোগী এবং এ কারণে দৃশ্যমান জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।