দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামে অপহৃত মাদরাসা ছাত্র উদ্ধার গ্রেফতার ৪
| প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীতে এক মাদরাসা ছাত্রকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত মাদরাসা ছাত্র মোঃ হেলালকে (১৫) উদ্ধারও করা হয়। হেলাল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথর ঘাটার বাসিন্দা হাজী মোঃ ইদ্রিসের পুত্র। নগরীর সোবহানিয়া আলিয়া মাদরাসায় নবম শ্রেণি ছাত্র সে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মোঃ ফাহিম হোসেন (২১), মোঃ রাব্বি (২৩), মোঃ ইমরান হোসেন (২০) ও মোঃ মফিজুর রহমান রিপন (২৩)। তাদের সবার বাড়ি নগরীর চান্দগাঁও এলাকায়। পুলিশ জানায় বুধবার সকালে চরপাথরঘাটার বাড়ি থেকে নগরীর আসাদগঞ্জের সোবহানিয়া আলিয়া মাদরাসায় যাওয়ার পথে তাকে কৌশলে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নেয় অপহরণকারী মফিজুর রহমান। অটোরিকশাটি কর্ণফুলী সেতু এলাকায় গেলে সহযোগী অপহরণকারী ফাহিম ও রাব্বী তাতে উঠে পড়ে। এরপর ইব্রাহিমের গলায় চাকু ঠেকিয়ে ইব্রাহিমের ফোন থেকে তার মাকে ফোন দিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং মুক্তিপণ না দিলে ইব্রাহীমকে গলাকেটে হত্যা করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে তাকে নিয়ে কর্ণফুলী রিভারভিউ এলাকায় একটি নিরব জায়গায় আটকে রাখে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করে তারা। এরপর তাকে চান্দগাঁও এলাকায় শরাফত উল্লাহ পেট্রোল পাম্পের পেছনের নির্জন এলাকায় জিম্মি করে রাখে এবং সেখান থেকে তাকে পাঠানিয়া গোদাস্থ জান্নাত বেকারীর পেছনে গলিতে আটক রাখে। গ্রেফতারকৃত অপর অপহরণকারী ইমরান হোসেন ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী পলাতক অপহরণকারী মোঃ আবু বক্করকে পুরো বিষয়টিতে সহায়তা করছিল। মূলপরিকল্পনাকারী অপহরণকারী মোঃ আবু বক্করকে (২৫) গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে পুলিশ জানায় তাকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ন কবির জানান, বুধবার সকালে কর্ণফুলী উপজেলার বাড়ির কাছ থেকে হেলালকে অপহরণ করা হয়। পরে তার পরিবারের সাথে অপহরণকারীরা যোগাযোগ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বুধবার কর্ণফুলী থানায় ছেলেটির পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় এবং বৃহস্পতিবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এসে অভিযোগ জানায়। তিনি বলেন, এরপর থেকে অভিযান শুরু করে রাতে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে হেলালকে উদ্ধার ও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার অপহরণকারী দাবি করে হুমায়ন জানান, তারা এর আগেও কয়েকজনকে অপরহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে।
.jpg)
