Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পটিয়ায় সড়কে সরঞ্জাম দুর্ভোগ চরমে

| প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভায় অপরিকল্পিতভাবে মহাসড়কের পার্শ্বে ড্রেন নির্মানের ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া পৌর এলাকায় তীব্রভাবে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারী বেসরকারী ত্রান পরিবহনকারী যানবাহন সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলে চরম দূর্ভোগের শিকার হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার ভ্রমনের পর্যটক, মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘ সংস্থার সদস্য, ইউনিসেফ এর গাড়ী সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গাড়ীও আটকা পড়ছে। মহাসড়কের দুই পার্শ্বে রাস্তা খুঁড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি করে, রাস্তার মাটি, পাথর, বালি, ইট, টিনের প্লেট মহাসড়কের উপর যত্রতত্র রাখার কারণে পটিয়া খাসমহল থেকে বাস ষ্টেশন পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক যানজটের শিকার হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বিশ্বব্যাংকের আওতাধীন এমজিএসপি প্রকল্পের অধীনে পটিয়া পৌরসভার জন্য ড্রেন নির্মান ফুটপাত ও স্ট্রিট লাইট স্থাপনের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে এ কাজ শুরু হয়। ১৮ মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। একদিকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে আরেকদিকের কাজ শেষ করার নিয়ম থাকলেও তা না মেনে ঠিকাদার দুই দিকে রাস্তা খুঁড়ে এর মাটি, পাথর, বালি, টিনের প্লেট, ভাঙ্গা পিলার সমূহ সড়কের উপর রাখার কারণে সড়ক সরু হয়ে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে পারছে না। মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই। অন্যদিকে রাস্তার দুই ধারের দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা জানান, এ ড্রেন পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন কাজে আসবে না। কারণ ড্রেনের দুই প্রান্তে পানি প্রবাহের কোন মূখ নেই। ড্রেন নির্মান করতে গিয়ে গত ১১ মাস যাবত ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা ও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ড্রেনের ফলে মহাসড়কের সাথে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার সংযোগ সড়কের মুখ উচু-নিচু হয়ে স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘেœর সৃষ্টি করবে। অপরদিকে মহাসড়কের ছোট-বড় ব্যবসায়ী দোকানপাটের ক্ষতি সহ মহাসড়কের দুই পার্শ্বের অবকাঠামো নড়েবড়ে হয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার পর্যন্ত শুধু পটিয়া ছাড়া আর কোন স্থানে যানবাহন চলাচলে এভাবে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে না বলে যানবাহন চালক ও লোকজনের অভিমত। এ ব্যাপারে পটিয়া পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করতে কল করলে তিনি বার বার কল কেটে দেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ