Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরবনে বনদস্যুদের উপদ্রব বনে ঢুকতে পারছে না জেলেরা

| প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 কয়রা (খুলনা) উপজেলা সংবাদদাতা

পশ্চিম সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বনদস্যুদের উপদ্রব উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলেদের মাছ ধরা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দস্যুদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট জেলেরা এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে দুধমুখ, গেড়া-চালকি, পাথকষ্টা, গেওয়াখালি, আদাচাকি, আড়–য়া শিবসা সহ অন্যান্য এলাকায় বনদস্যু ফারুক বাহিনীর ৮/১০ জন সক্রিয় সদস্য জেলেদের দিনের পর দিন আটকে রেখে বেধড়ক মারপিট অব্যাহত রাখায় কয়রা এলাকার শতাধিক জেলে চলতি গোনে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেতে পারেনি। জেলেরা জানিয়েছে, দস্যুবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র তারা দেখতে পেয়েছে। কয়েকদিন আগে কয়রা গ্রামের জাহিদ নামের এক জেলে চালকি বন এলকায় কাঁকড়া ধরতে গেলে বনদস্যুরা তাকে বেদম মারপিট করে। মারের যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে ঐ জেলে নৌকা থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে নদী থেকে তুলে সহযোগি জেলে মজিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়।
সুন্দরবনের মাছ ব্যবসায়ি আবুল কালাম সানা, নুর হোসেন, সাঈদ আলী ও মুছা জানিয়েছেন, বনদস্যুরা তাদের অধীন্ত জেলেদের কাছ থেকে গোনচুক্তিতে টাকা নেয়। তারপরও জেলেদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। সে কারনে চলতি গোনে ৪নং কয়রা, ৫নং কয়রা, ৬নং কয়রা, পাথরখালি, জোড়শিং এলাকার শতাধিক জেলে বনদস্যুদের ভয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেতে পারেনি। কয়রার জেলে সাহেব আলী গাজী জানায়, চালের দাম চড়া, বনে মাছ ধরে কোনমতে সংসার চালাই। কিন্তু ডাকাতের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় বনে মাছ ধরতে যেতে পারছি না। বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করছি।
এ ব্যাপারে কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক বলেন, নতুন কিছু বনদস্যু দাকোপ এলাকা দিয়ে শিবসা নদী হয়ে বনে ঢুকে চাঁদাবাজি করছে বলে তিনি শুনেছেন। এদের রুখতে পুলিশের একটি দল ইতমধ্যে সুন্দরবনে অভিযানে নেমে পড়েছে। কোস্টগার্ড পশ্চিম মংলা জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেঃ হায়াত বলেন, ভাই ভাই বনদস্যুদের পাকড়াও করতে গত কয়েকদিন ধরে সুন্দরবনে অভিযান চলমান রয়েছে। নলিয়ান, আংটিহারা, দোবেকি, কাগা দোবেকি কনটিনজেন্ট অফিসকেও দস্যু দমনে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ