Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফেনীতে বন্যায় ফসলহানি বীজ পাচ্ছে মাত্র ১৩ শতাংশ কৃষক

| প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফেনী থেকে মো. ওমর ফারুক
চলতি বর্ষা মৌসুমে ফেনীর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে নামমাত্র রবিশস্যের বীজ বিতরণ করে দায় সারছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বন্যায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারিভাবে ১৩ শতাংশ কৃষককে সহযোগিতা করা হচ্ছে। রোপা আমন ও বীজতলা এবং শরতকালীন সবজির সীমাহীন ক্ষতি হলেও ক্ষতিগ্রস্ত ৯ হাজার কৃষকের মধ্যে মাত্র এক হাজার ২৪৫ জনকে শুধু রবিশষ্যের বীজ দেয়া হচ্ছে। এ সহযোগিতাটুকুও পাচ্ছে না বাকি ৮৭ শতাংশ কৃষক।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, এবারের বন্যায় জেলার ছয় উপজেলায় রোপা আমন, আমনের বীজতলা ও শরতকালীন সবজি চাষ করে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন ৯ হাজার ৩৭২ জন কৃষক। এর মধ্যে আমনের বীজতলা আট হাজার ৮৪৫, রোপা আমন ১২৯ ও শরতকালীন সবজির ৩৯৮ জন কৃষকের সাত কোটি ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুলগাজী উপজেলায়। এখানে আমনের বীজতলায় পাঁচ হাজার ৭০, রোপা আমন ৫৪ ও শরতকালীন সবজি চাষে ২৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া পরশুরাম উপজেলায় আমনের বীজতলায় এক হাজার ৪৩০, রোপা আমন ৭৫ ও শরতকালীন সবজি চাষে ৭০ জন কৃষক।
ছাগলনাইয়া উপজেলায় আমনের বীজতলায় তিন হাজার ৬০ ও শরতকালীন সবজি চাষে ১০৮ জন কৃষক, সদর উপজেলায় আমনের বীজতলায় ৪২০ ও শরতকালীন সবজিতে ১০৮ জন কৃষক, দাগনভ‚ঞা উপজেলায় আমনের বীজতলায় এক হাজার ৩২৫ ও শরতকালীন সবজিতে ৬০ জন কৃষক এবং সোনাগাজী উপজেলায় আমনের বীজতলায় ২৪০ জন কৃষক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
সূত্র আরো জানায়, সরকারিভাবে সহযোগিতার জন্য তালিকা করা কৃষকদের রবিশস্যের বীজ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে। এদের মধ্যে ৯০০ জনকে শরিষা, ৩০০ জনকে ফেলন ও ৪৫ জনকে বিটি বেগুন দেয়া হবে। প্রতিজন কৃষককে এক বিঘা চাষের জন্য এক কে.জি সরিষা বীজ, ২০ কে.জি ডিএপি সার ও ১০ কে.জি এমওপি, সাত কে.জি ফেলন বীজ, ১০ কে.জি ডিএপি, এমওপি পাঁচ কে.জি, ২০ গ্রাম বিটি বেগুনের বীজ, ডিএপি ১৫ কে.জি ও এমওপি ১৫ কে.জি করে বরাদ্ধ হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে উল্লিখিত প্রণোদনা কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেয়া হতে পারে।
জানতে চাইলে জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেদ কামাল বলেন, এবারের বন্যায় সারা দেশের মতো ফেনীতে ব্যাপক ক্ষতি হলেও এখানকার কৃষকরা মনোবল না ভেঙে ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছেন। কৃষক পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে সরকারিভাবে এক হাজার ২৪৫ কৃষককে সহযোগিতা করা হচ্ছে। বরাদ্ধকৃত রবিশষ্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ