পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হঠাৎ করেই গত সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক মাসের ছুটির কথা জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে চিঠি দেন। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। প্রেসিডেন্টকে ছুটির চিঠি দেয়ার পর বিচারপতি সিনহার বাসভবনে প্রবেশে কড়াকড়ি, কারো সাক্ষাৎ না দেয়া এবং আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশব্যাপী সর্বমহলে ব্যাপক হৈ চৈ শুরু হয়েছে। এরপর গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রী বলেছেন, প্রধান বিচারপতি ক্যান্সারে আক্রান্ত। গতকাল একজন চিকিৎসক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তার বাসায় যান। এসব নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় দেশব্যাপী। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরলেন এসকে সিনহার সেই চিঠি।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট (রাষ্ট্রপতি) বরাবর প্রধান বিচারপতির লেখা চিঠির বিষয় এ লেখা হয়েছে- অসুস্থতাজনিত কারণে ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটির আবেদন। এরপর লেখা হয়েছে, মহাত্মন, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি গত বেশ কিছুদিন যাবত নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় ভুগছি। আমি ইতোপূর্বে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন ছিলাম। বর্তমানে আমি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছি। আমার শারীরিক সুস্থতার জন্য বিশ্রামের একান্ত প্রয়োজন। ফলে আমি আগামী ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যনমশ ৩০ দিনের ছুটি ভাগ করতে ইচ্ছুক।
আরো লেখা হয়েছে, এমতাবস্থায় আগামী ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যনমশ ৩০ (ত্রিশ) দিনের ছুটির বিষয়ে মহাত্মনের সানুগ্রহ অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। চিঠির নিচে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার স্বাক্ষর রয়েছে।
আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের পুরো চিঠিটি পড়েও শোনান। এছাড়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বাসায় অসুস্থ আছেন। মঙ্গলবার উনাকে ডাক্তার দেখতে যান। আজকেও ডাক্তার দেখতে যাওয়ার কথা আছে।
এ সময় বিচারপতির ছুটি নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি অসুস্থ, এটা নিয়ে রাজনীতির কিছু নেই। আসুন আমরা সবাই মিলে বিচারপতি এস কে সিনহার সুস্থতার জন্য দোয়া করি। বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বলব, আসেন দোয়া করি, উনি যেন সুস্থ হয়ে যান। আইনমন্ত্রী জানান, চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হচ্ছে। যখন দেখতে যাওয়ার মতো অবস্থা হবে, তখন তিনি বিচারপতি এস কে সিনহাকে দেখতে যাবেন। প্রধান বিচার প্রতি এস কে সিনহা কি গৃহবন্দী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই না।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রেসিডন্ট কাছে এক মাসের ছুটির জন্য আবেদন করেন। সোমবার বেলা ৩টার দিকে চিঠিটি প্রেসিডেন্ট কাছে পাঠান তিনি। এ দিকে তার বাসভবনেও কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।