বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা ব্যুরো : নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও অপরাধীদের গতিবিধি শনাক্ত করাসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ২০১৫ সালের জুনে খুলনা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১২০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। পরবর্তীতে এক বছর ধরে ৮৮টি ক্যামেরা স্থাপন করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। কিন্তু যথাযথ রক্ষণাবেক্ষন না থাকায় ক্যামেরাগুলো অকেজো হয়ে পড়ে। তারপরে আর সংস্কার বা পুনঃস্থাপন করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, খুলনা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি মোড়ে ১২০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয় কেসিসি। প্রতিটি মোড়ে ৮টি করে ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল। কেএমপি’র ১১টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের প্রস্তাবের সাথে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সিটি মেয়র আনিসুর রহমান বিশ্বাষ আরও চারটি পয়েন্ট ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তাব দেন। প্রাথমিকভাবে ১৫টি মোড়ে ৮টি করে মোট ১২০টি ক্যামেরা মনিটর এবং এরসাথে প্রয়োজনীয় সরঞ্জম কেসিসি’র পক্ষ থেকে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। কেএমপি ও কেসিসি সূত্রমতে-শহরের আটটি থানা ও সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর দুই শতাধিক স্থান রয়েছে। ক্যামেরা লাগানো, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মনিটরিং করার দায়িত্ব ছিল কেএমপি’র। যথাযথ মনিটরিং এবং অবহেলার কারণে সেগুলো এখন অকেজো অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, নগরীর যে সব স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে অকেজোগুলো সচল ও সক্রিয় করা হবে। দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। কেসিসির প্যানেল মেয়র আনিসুর রহমান বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিকভাবে নগরীর ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ১২০ ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ক্যামেরা, মনিটর ও সরঞ্জাম নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী ৮৮টি ক্যামেরা প্রথম দফায় স্থাপন করতে দেয়া হয়েছিল। কেএমপি’র সেগুলো স্থাপন ও তদারকি দায়িত্ব ছিল। পরে নতুন করে আর সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা তো হয়নি; স্থাপিত ক্যামেরাগুলোও বছরের পর বছর অকেজো হয়ে নষ্ট হচ্ছে।
কেএমপি’র মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মনিরা সুলতানা বলেন, “পূজার সময় কয়েকটা ক্যামেরা মেরামত করা হয়েছিল। সংস্কার তো নিয়মিত প্রক্রিয়া; বৃষ্টির পানিতে অকেজো হয়ে থাকতে পারে। নগরীর ২৯টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। সিসি ক্যামেরা মনিটরিংয়ের দায়িত্ব আওতাধীন থানার। তারাই ভাল বলতে পারবে।” সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষন ও পর্যালোচনার জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ না থাকায় সিসি ক্যামেরা মনিটরিংয়ে অনিহা রয়েছে থানা পুলিশের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।