Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৮ উপজেলার ৬টি সংসদীয় আসনে পুরনোরা অনেকটাই পিছিয়ে

যশোরে নতুন মুখের আধিক্য

| প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিজানুর রহমান তোতা : রাজনীতিতে এখন নতুনদের জয়জয়কার। ডিজিটাল বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে নতুনরা প্রাধান্য পাচ্ছে বেশী। নানা কারণে পিছিয়ে পড়ছে পুরাণোরা। সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বর্তমানে নতুনদের আধিক্য বাড়ছে। একসময় ধারণা ছিল পোড় খাওয়া, অনেক অভিজ্ঞতা, চুলে পাক ধরতে হবে, তারপর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে-এটি এখন যেন মিথ্যা হয়ে গেছে। দলের নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে নতুনরা অতিমাত্রায় এগিয়ে। এর ধারাবাহিকতায় নতুনদের হাতে এমপিশিপও চলে যাচ্ছে এমনটিই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে একথাও ঠিক যে পুরাণো চাউলে ভাতে বাড়ে-এর মতো নতুনদের পাশাপাশি দক্ষতা যোগ্যতা অভিজ্ঞতা যাদের বেশী তারাও একেবারে কম যাচ্ছেন না। নতুনদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকদের কাছে এখনো পোড় খাওয়া বোদ্ধা রাজনীতিকদের গুরুত্ব একেবারে কমে যায়নি। সুত্রমতে, যশোরের প্রেক্ষাপটে নতুন পুরানদের মিশেল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছে দু’টি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। যশোরের ৮টি উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন ৬টি। সব আসনেই প্রধান দু’টি দলের প্রাধান্য রয়েছে অতীতের ভোট ব্যাংকের হিসাব নিকাশে দেখা যায়। জোটের স্বার্থে কোন কোন সময় প্রধান দু’টি দল বিশেষ করে বিএনপি কোন কোন আসন শরীকদের ছেড়ে দিয়েছে ঠিক কিন্তু আসনগুলো মুলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। বারবার এটি প্রমাণিত সত্য।
সংসদে প্রবীনদের পাশাপাশি নবীনরাও রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোন কোন সময়। তবে বরাবরই প্রবীনরাই বেশী প্রাধান্য পেয়েছেন এযাবৎকাল। স্বাধীনতার প্রবেশদ্বার, আন্দোলন সংগ্রামের পীঠস্থান যশোরের রাজনীতিতেও এবার নবীনরা প্রাধান্য পাচ্ছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে, এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় নতুন মুখের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। নানা কারণে তাদের প্রাধান্য থাকছে প্রধান দু’টি দলে তাতে মনে হচ্ছে এবারই প্রথম নতুনদের জয়জয়কার। নতুনদের নামটাই ভোট রাজনীতির মাঠে জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। যশোরের ৬টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ কয়েকটিতে প্রার্থী পরিবর্তন করতে যাচ্ছে এমন আভাস পাওয়া গেছে। সেজন্য দলের কেন্দ্রে লবিং জোরদার হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি যারা বিভিন্ন কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন, হয়েছেন বিতর্কিত কিংবা ক্ষমতায় থেকে দল ও জনকল্যাণে রাজনীতির বদলে ব্যক্তিস্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাদের অবস্থা একেবারেই নড়বড়ে। দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সুত্র জানায়, কিভাবে কতটা জনপ্রিয়তায় বড় ফাটল ধরেছে তা তারা নিজেরা আন্দাজ করতে পারছেন না। এরপরও যদি দল মনোনয়ন দেয় তবে ভরাডুবির আশংকা থাকবে বলে সুত্রমতে প্রকাশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথা, দশম সংসদের একতরফা নির্বাচনে যশোরের ৬টি আসনে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন বা এমপি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে সেটি হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে তুমুল প্রতিদ্বন্দিতাপুর্ণ। কারো কারো বদ্ধমুল ধারণা, নানা কোটায়, অমুক প্রভাবশালী নেতার আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় কিংবা অর্থের জোর ও কেন্দ্রে জোরালো লবিংএ মনোনয়নের টিকিট মিলবে।
বিভিন œসুত্রে জানা গেছে, যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনে আওয়ামীগের বর্তমান এমপিরা ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী নতুন মুখের তালিকায় উল্লেখযোগ্যরা হলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি সদর আসনে শাহিন চাকলাদার, মণিরামপুরে সাবেক ছাত্রনেতা কামরুল হাসান বারী, শহীদুল ইসলাম মিলন, অভয়নগরে এনামুল হক বাবুল, ঝিকরগাছায় এডঃ রায়হান, মেজর জেনারেল (অবঃ) নাসির, এসএম হাবিব, বাঘারপাড়ায় আমজাদ হোসেন, নাজমুল ইসলাম কাজল, কেশবপুরে এইচ এম আমির হোসেন। বিএনপির যশোর সদর আসনের ক্ষেত্রে ভিন্নতা সেটি হচ্ছে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম অসুস্থ্যতার কারণে যদি নির্বাচন না করেন তাহলে সদরে তার পুত্র অনিন্দ্য ইসলাম অমিত নির্বাচনী লড়াইতে নামবেন। সদরে সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলামের নামও উচ্চারিত হচ্ছে। অন্যান্য আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী নতুন মুখ হচ্ছে, চৌগাছায় মিজানুর রহমান খান, অভয়নগরে মতিয়ার রহমান ফারাজী, বাঘারপাড়ায় তাহের সিদ্দিকী, ঝিকরগাছায় সাবিরা নাজমুল মুন্নী, মোর্তজা এলাহী টিপু, মণিরামপুরে শহীদ ইকবাল, ইফতেখার অগ্নি, কেশবপুরে আবুল হোসেন আজাদ ও বদরুজ্জামান মিন্টু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ