Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সেনা কর্মকর্তার মা হত্যায় দারোয়ানের মৃতুদন্ড

| প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর উত্তরায় এক সেনা কর্মকর্তার মা মনোয়ারা সুলতানা হত্যা মামলায় বাড়ির দারোয়ান গোলাম নবী ওরফে রবির মৃত্যুদন্ড এবং ভাড়াটিয়া লাইলী আক্তার লাবণ্যের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ ওই দন্ডের রায়ের পাশাপাশি দন্ডিতদের দশ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করেছেন। যাবজ্জীবন দন্ডিতের ওই অর্থদন্ড অনাদায়ে তার আরও এক বছর কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত উভয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলায় জানা যায়, ভিকটিম মনোয়ারা বেগম তার স্বামী ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ মারা যাওয়ার পর রাজধানীর উত্তরার ৯ নং সেক্টরের ৪ তলা বাসার দোতলায় একাকি বসবাস করে আসছিলেন। তার তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মোহাম্মদ ইকবাল ইউসুফ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী, মেজো ছেলে লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালিদ বিন ইউসুফ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। আর ছোট ছেলে মোহাম্মদ আরমান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। ভিকটিম তার বাড়ির নীচতলা, তৃতীয় তলা ও চতুর্থ তলা ভাড়া দেন। তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া দন্ডিত লাইলী আক্তার লাবণ্য বাইরে থেকে মেয়েদের এনে ওই বাসায় দেহ ব্যবসা শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে মনোয়ারা বেগম তাকে বাসা ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। অন্যথায় তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেবেন বলে ভয় দেন। ওই কারণে লাবণ্য ক্ষিপ্ত হয়ে লাবণ্যর নিয়োগ করা বাড়ির দারোয়ান গোলাম নবীকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য প্রলোভন দেখিয়ে মনোয়ারা বেগমকে খুন করতে প্রলুব্ধ করেন। পরে দারোয়ান নবী স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সার লোভে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালের ৪ জুন মাগরিবের নামাজের পর ভিকটিমের বাসায় ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে ছুরি দিয়ে মনোয়ারা বেগমের গলায় দুই থেকে তিনটা পোচ দিয়ে গলা কেটে খুন করে। এরপর তারা ঘরে থাকা খাটের আলমারী ভেঙে এক লাখ ১৩ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালিদ বিন ইউসুফ বাদী হয়ে উত্তরা-পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান ওই বছরের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। চলতি বছর গত ২১ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগপত্রের ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। ঘটনার পর আসামি গোলাম নবী গ্রেফতার হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি মো. মাহবুবুর রহমান। আর তাকে সহযোগিতা করেন দুদকের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন ফারুক হোসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ