Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চিকিৎসক লাঞ্ছনায় দোষীদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম

| প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

না.গঞ্জ ৩০০ শয্যায় জরুরী বিভাগে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের দাবি বিএমএ’র
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে : নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। এছাড়া ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আইনানুগ পদক্ষেপ না নিলে সরকারি ও বেসরকারী হাসপাতালে কর্মবিরতি পালনেরও আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসকদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদে গত সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিবি রোডে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় এ আহবান জানানো হয়। এর আগে দুপুরে সীমান্ত নামের এক স্কুল ছাত্রের শীতলক্ষ্যায় ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভাংচুর এবং চিকিৎসক ও কর্মচারীদের লাঞ্ছিত করে মৃতের স্বজনেরা।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. দেবাশীষ সাহার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ডা. এ.কে.এম শফিউল আলম ফেরদৌস, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আতিকুজ্জামান সোহেলসহ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, ১০০ শয্যা হাসপাতাল, ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ, প্রাইভেট প্র্যাকটিশনারসহ চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিএম নারায়ণগঞ্জ শাখার নেতৃত্বে বেশ কিছু পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হয়। সেগুলো হল, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে দোষী ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আইনানুগ পদক্ষেপ না নিলে সরকারি ও বেসরকারী চিকিৎসকবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠানসমূহে কালো ব্যাজ ধারণ ও কর্মবিরতি পালন করা হবে। ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ৩ অক্টোবর থেকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত পুলিশি পাহাড়া নিয়মিত করে হাসপাতালে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে সম্পৃক্ত করে চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থলের স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদী ও কার্যকর পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে হবে।
২০০ শয্যা থেকে হাসপাতালটি ৩০০ শয্যায় উন্নীত হলেও এর অবকাঠামো, সরঞ্জাম ও লোকবল ২০০ শয্যার মতোই রয়ে গেছে এজন্য অবিলম্বে এই হাসপাতাল ৩০০ শয্যার উপযোগী সরঞ্জাম ও লোকবলের যোগান দিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৩০০ শয্যার জরুরী বিভাগের ইএমও, নার্স ও সহকারীদের বর্তমান সংখ্যা অনতিবিলম্বে দ্বিগুন করতে হবে। প্রয়োজনে সংযুক্তি বা প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে লোকবলের অভাব পূরণ করতে হবে। জরুরী বিভাগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৩০০ শয্যার জরুরী বিভাগের নিরাপত্তা অবকাঠামো বৃদ্ধি করতে হবে। নানা রকম সীমাবদ্ধতা নিয়ে কর্মরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার বন্ধ করে যথাযথ সংবাদ প্রচার করতে হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ