পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, প্রধান বিচারপতি তাঁর পত্রে লিখেছেন, তিনি ক্যানসারসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং সেগুলো সম্পূর্ণ সারেনি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর আরও বিশ্রামের প্রয়োজন। এ জন্য এক মাসের ছুটিতে গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রধান বিচারপতি হঠাৎ ছুটি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের ব্যাখ্যা দিয়ে আইন মন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতি ছুটির জন্য যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে তিনি এসব কারণ উল্লেখ করেছেন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী রায়ের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির ছুটির কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, যারা এটাকে সংযোগ করতে চাইছে, আমি বলব তাদের একটা দুরভিসন্ধি আছে। তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর সাথে এটার কোনো সম্পর্ক নাই। কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয় নাই। ছুটি শেষেই বিচারপতি সিনহা কর্মস্থলে ফিরবেন- এমন আশা প্রকাশ করে সেজন্য দোয়া করার কথাও বলেছেন মন্ত্রী। আনিসুল হক বলেন, যারা প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গণতন্ত্র ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রের জাল বুনছিল, তারাই তাঁর ছুটিতে যাওয়ার বিষয় নিয়ে চিৎকার করছে। তাদের ষড়যন্ত্র ব্যহত হয়েছে। মানুষ অসুস্থ হতে পারেন না? এমন তো কোনো কথা নেই। যে কোনো মানুষ যে কোনো সময় অসুস্থ হতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির ছুটির বিষয়টি অনুমোদনের ব্যাপার নয়। তিনি যেকোনো সময় ছুটি নিতে পারেন। এ নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রধান বিচারপতির ছুটিতে যাওয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, যাঁরা এই অভিযোগ করছেন, তাঁরা ডাহা মিথ্যা কথা বলছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো চাপ ছিল না। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে যান। আর প্রেসিডেন্ট অস্থায়ী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনের বিষয়টির প্রজ্ঞাপন জারির অনুমোদন করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতির ছুটির ব্যাপারে কোনো ধরনের হুমকি দেয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ যদি কেউ করে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ হওয়ার কারণেই তারা এটা বলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।