পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনগণের দুর্ভোগের দিকে না তাকিয়ে পুরস্কারের জন্য ছুটছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, কিভাবে নোবেল পুরস্কারের মতো একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার হাতিয়ে নেয়া যায় তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গণবিরোধী নীতির কারণেই ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে আওয়ামী লীগ বরাবরই খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শোনা যাচ্ছে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য তিনি নাকি লবিস্টও নিয়োগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক ফোরামে গিয়েও রোহিঙ্গা সংকটের কোনো সুরাহা করতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ বর্তমানে গভীর সংকটে থাকলেও আওয়ামী নেতারা এখন প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কার এনে দেয়ার লবিংয়ে ব্যস্ত। যেন ‘রোম যখন জ্বলছে, নীরু তখন বাঁশী বাজাচ্ছে’।
বাংলাদেশের মানুষ এখন মহাদুর্যোগে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই, জানমালের নিরাপত্তা নেই, বিরতিহীনভাবে গুম-খুন-অপহরণ ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড চলছে, নারী-শিশু নির্যাতনের মাত্রা এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে, ভয়াল দুঃশাসনের কবলে গোটা জাতি আর প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারের পেছনে ছুটছেন। রিজভী বলেন, মিয়ানমার বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের চুক্তিতে মিয়ানমার সম্মত হয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে এ ধরনের চুক্তি ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। মিয়ানমারের মন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের সময়ও সেখানে রোঙ্গিাদের ওপর বর্বর নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। তাদের নির্যাতনে সেখান থেকে এখনও হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে আসছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশবাসীকে মন ভোলানো কথা বলেছেন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বৈঠকটি আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন একটি সুদীর্ঘ বিলম্বিত পথ। রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিরাপত্তাসহ স্বদেশে ফেরত নেয়ার কোনো তাগিদ নেই সেখানে।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বোগতির বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মন্ত্রীদের বাগাড়ম্বর বক্তব্যের পরও চালের মূল্য কমেনি। পাইকারি বাজারে দু’ এক টাকা কমলেও খুচরা বাজারে চালের দাম এখনও কমেনি। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামছে না। পাইকারি পর্যায়ে সরু চাল কেজিতে ৬৫-৬৮ টাকা। আর খুচরা বাজারে এ চালের দাম কেজিতে ৬৫-৭০ টাকার মধ্যে এবং গলির মোড়ের বেশিরভাগ দোকানি কোনো সরু চাল ৭০ টাকার নিচে বিক্রি করছেন না। মোটা চাল এখনও ৫০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছেনা। এদিকে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা তরিতরকারীসহ নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বি। ৬০ টাকার নীচে কোন তরিতরকারী কেনা যাচ্ছেনা। কাচঁবাজারে সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বাজারে আগুন জ্বলছে। চাল-ডাল-লবন-তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন। এরই মধ্যে কয়েক দফা গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির উদ্যোগ বাস্তবায়ন চুড়ান্ত পর্যায়ে আছে। ফলে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জীবন হয়ে উঠেছে মানবেতর।
প্রধান বিচারপতি ছুটির ঘটনায় বৈঠক করেছে বিএনপি : আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে আজ
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনের রায় নিয়ে সমালোচনার মুখে থাকা প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ছুটি যাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি বৈঠক করেছেন বিএনপির নেতারা। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন। এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবীরা। সেখানে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধান বিচারপতির ছুটির বিষয়ে আজ বিকেল আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে দলটি। বিএনপি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সময় নিলেও দলটির সমর্থক আইনজীবীরা বলছেন, বিচারপতি সিনহাকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করেছে সরকার। ষোড়শ সংশোধনের বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনার মুখে ছিলেন বিচারপতি সিনহা। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষে তার অপসারণ দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণাও দেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা। অবকাশ শেষে আদালত খোলার আগের দিনই জানানো হয়, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এক মাসের ছুটিতে গেছেন। ষোড়শ সংশোধন বাতিলের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি, যে রায়ে বিচারপতিদের অপসারণে জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরিয়ে আনা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।