পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতি বছরের মতো এবারও তেসরা অক্টোবর জার্মানির প্রায় এক হাজার মসজিদ দরজা খুলে দেয়া হয় অতিথিদের জন্য, ‘শুভ স¤প্রদায়, উন্নততর সমাজ’, এই আদর্শ নিয়ে। দিনটি আবার দুই জার্মানির পুনর্মিলন উপলক্ষ্যে জার্মান ঐক্য দিবসও বটে।
১৯৯৭ সাল থেকে জার্মান পুনরেকত্রীকরণ দিবসটিকে ‘মুক্ত মসজিদ দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। পুনরেকত্রীকরণ দিবস সরকারি ছুটির দিন। কেন্দ্রীয় মুসলিম পরিষদের বিবৃতি অনুযায়ী, জার্মান জনগণের সঙ্গে মুসলিমদের যোগসূত্র এবং জার্মান ঐক্যের অঙ্গ হিসেবে মুসলিমদের তুলে ধরার জন্য এ দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়। এ দিন প্রায় এক লাখ অতিথি বিভিন্ন মসজিদে আসেন।
এদিন জার্মানির মুসলিমরা অতিথিদের ইসলাম সম্পর্কে স্পষ্টতর ধারণা দিতে চায়। এছাড়া মসজিদ যে শুধু ইবাদাতের জায়গা নয়, বরং স¤প্রদায় তথা সমাজের জন্য দেখাসাক্ষাৎ ও মেলামেশার স্থান, সেটাও তুলে ধরা হয়।
যে কোনো ধর্মকে চিনতে হলে, তার আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে পরিচিত হওয়া প্রয়োজন। গির্জার সঙ্গে মসজিদের একটি তফাৎ হলো এই যে, মসজিদে ঢুকতে গেলে জুতো খুলে ঢুকতে হয়। এছাড়া নামাজ পড়ার আগে ওজু করার প্রথা রয়েছে। মুক্ত মসজিদ দিবসে জার্মান অতিথিরা এসব রীতিনীতি সম্পর্কে জানতে পারেন।
কোলনের কাছে হ্যুর্থ-এর মতো অনেক মসজিদেই অতিথিদের ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা থাকে। ফলে অতিথিরা ইসলামি স্থাপত্য, ইতিহাস ও সেই সঙ্গে মসজিদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পর্কে একটা ধারণা পান। জার্মানির মুসলিমদের সমাজজীবনে মসজিদের ভূমিকাও তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ডুইসবুর্গের মেরকেজ মসজিদ হলো জার্মানির বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদটি খোলা হয় ২০০৮ সালে। ডুইসবুর্গের মুসলিম সমাজ মুসলিমদের জার্মান সমাজে অন্তর্ভুক্তির উপর বিশেষ জোর দেয়। অতিথিরা মসজিদটি ঘুরে দেখার, এছাড়া নামাজে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। সবশেষে এক, পেয়ালা চায়ের আমন্ত্রণও বাদ যায় না।
অতিথিরা ৩ অক্টোবর সেহিৎলিক মসজিদের ভিতরের বারান্দা থেকে মুসল্লিদের নামাজ পড়া দেখা ও শোনার সুযোগ পান। জার্মানির মসজিদগুলি বিভিন্ন ধর্ম ও স¤প্রদায়ের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য অন্যান্য উপলক্ষ্যেও অতিথিদের অভ্যর্থনা জানিয়ে থাকে। ড্রেসডেনের মসজিদগুলিও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানে সচেষ্ট। আল-মোস্তাফা মসজিদের কর্মকান্ডে থাকে ইসলাম সম্পর্কে মসজিদের ইমামের মনোজ্ঞ ভাষণ। এছাড়া বার্তালাপ, আলোচনার পাশাপাশি স্বভাবতই থাকে অতিথি আপ্যায়নের জন্য খাবারদাবারের ব্যবস্থা। যে শহরে ইসলামবিরোধী পেগিডা আন্দোলন মাথাচাড়া দেয়, সেখানে এই উদ্যোগের গুরুত্ব অসীম। সূত্র ডয়েচে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।