পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহান আল্লাহ তায়ালার মনোনীত ও হযরত মুহাম্মদ (সা.) প্রচারিত ধর্ম ইসলামকে জিন্দা রাখতে কারবালার ময়দানে ইসলামের চরম শত্রæ ইয়াজিদের মোকাবিলা করতে তেজদীপ্ত সাহসী লড়াই করে হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করে গেছেন। সে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের মুসলমানগণ পরিপূর্ণ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে পালন করে জানান দিয়েছেন, ‘ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হার কারবালাকা বাদ’। সকল মতধারার মুসলমান এবং সংগঠনসমূহ বিভিন্ন আয়োজনে ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ মহান দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করেছে। বিভিন্ন আয়োজন ও কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা, মিলাদ ও দোয়ায় মাহফিল এবং বর্ণাঢ্য তাজিয়া মিছিল। হোসেনী দালানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাজিয়া মিছিল বের হয়।
বিশ্ব সুন্ন্ িআন্দোলনসহ বিভিন্ন আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, দশ-ই মহররম শাহাদাতে কারবালা দিবস ঈমানী অস্তিত্বের স্মারক ও মুসলিম মিল্ল াতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস এবং মানবতার মুক্তির মহা শাহাদাত দিবস, প্রাণপ্রিয় ইমামে আকবর সাইয়েদেনা হজরত ইমাম হুসাইন রাদিআল্ল াহু আনহুর অতুলনীয় মহান শাহাদাতের মধ্যেই নিহিত সত্য ও দুনিয়ার পূর্বাপর সমস্ত জিহাদ ও শাহাদাতের সম্মিলিত পূর্ণ মর্ম। তিনি বলেন, মহান ইমামে আকবর রাদিআল্লাহু আনহুর শাহাদাতের শিক্ষা ও তাৎপর্য উপলব্দির মাধ্যমেই ঈমান ও প্রকৃত দ্বীন এবং ইসলামের কুফরী প্রতারনা বুঝা সম্ভব। বক্তাগণ আরো বলেন, ১০ মহররম ইসলামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এ দিনে ইসলামবিরোধী শক্তিগুলোকে ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের মাধ্যমে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছিলেন মহান রাব্বুল আলামিন। নমরুদ-ফেরাউনের মতো ক্ষমতাধর শক্তিকে আল্লাহ এই দিনে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
একইভাবে পশ্চিমা ও মিয়ানমারসহ ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলোকেও আল্লাহ ধ্বংস করে দেবেন। মুসলমানদেরকে ঈমানী ও আত্মাতিক শক্তি অর্জন করে হযরত ইমাম হুসাইন (রা.)-এর মতো সংগ্রামের সূচনা করতে হবে। কারণ অন্যায় অসত্য ও খোদাদ্রোহাী তাগুতি শক্তিগুলো ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্তে উঠে পড়ে লেগেছে।
বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের সমাবেশে ইমাম হায়াত
মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবস উপলক্ষে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন, বাংলাদেশ এর উদ্যোগে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তন হলে গতকাল এক বিরাট সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান মেহমান হিসেবে দোআ করেন হজরত আল্লামা সৈয়দ সাইফুর রহমান নিজামী শাহ। আল্লামা শাহ আরেফ সারতাজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বিরাট সমাবেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপক্ষবের প্রবর্তক হজরত আল্লামা ইমাম হায়াত।
বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা সৈয়দ আবেদ শাহ মোজাদ্দেদী (রঃ) এর সাহেবজাদা পীর আল্লামা সৈয়দ জাহান শাহ, অধ্যাপক আল্লামা ডঃ আতাউর রহমান মিয়াজী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক আল্লামা ডঃ আবদুল্লাহ আল মারুফ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), পীরে তরিকত আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী (হাক্কানী দরবার শরীফ, ঢাকা), অধ্যাপক আল্লামা ডঃ আব্দুল কাদির (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক আল্লামা আহসানুল হাদী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক ডঃ আল্লামা নুরুন্নবী (এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, ঢাকা)।
ইমাম হায়াত বলেন, শাহাদাতে কারবালার বিপরীত ধারায় বিশ্বাসীরা ঈমান দ্বীনের পবিত্র কলেমা থেকেও বিচ্ছিন্ন। তিনি বলেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমনের যে দান ও লক্ষ্য, সত্য ও জীবনের অপরিহার্য সে দান পরাধীনতা-বর্বরতা-স্বৈরতার বিণাশী ধারায় সবকিছু যখন নিমজ্জিত করা হচ্ছিল, মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীনের পরবর্তিতে প্রাণপ্রিয় ইমাম হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহু এবং মহামহিম পবিত্র আহলে বায়েত রাদিআল্লাহু আনহুম তখন শাহাদাতের সর্বোচ্চ মহা ত্যাগের মাধ্যমে সে দান ও লক্ষ্য রক্ষা করেন।
ইমাম হায়াত কলেমা-দ্বীন-মানবতার সুরক্ষার দিকদর্শন মহান শাহাদাতে কারবালার নির্দেশিত জীবন চেতনার আলোকে সর্বজনীন মানবিক সমাজ-রাষ্ট্র-বিশ্বব্যবস্থা খেলাফতে ইনসানিয়াত গড়ে তোলার বিপ্লবী লক্ষ্যে দৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহনের জন্য ইমাম হায়াত সবার প্রতি আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।