পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনীতিতে যত অন্যায়, অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে তার সবই প্রধানমন্ত্রী করেছেন। আর তার তামাশাম্যান হচ্ছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বাংলাদেশের তামাশাম্যান। প্রধানমন্ত্রীর সকল প্রকারের অনাচারকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি উন্নত মানের ফেরিওয়ালা হিসেবে কাজ করছেন। গতকাল (সোমবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে প্রতিশোধ প্রতিহিংসা আর মিথ্যার রাজনীতি। বিরোধী দল তথা বিএনপির বিরুদ্ধে সকাল-সন্ধ্যা মিথ্যাচার করাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের কাজ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য আছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিই হচ্ছে প্রতিপক্ষকে গালমন্দ করা মিথ্যাচার করা, নোংরা কথা বলা। কিন্তু বিএনপি সেগুলো করেনা। বিএনপি যতটুকু সমালোচনা করা দরকার, ঠিক ততটুকুই করে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে রিজভী বলেন, মিয়ানমার এতো বড় ঘটনার পরও, এত রক্তপাত করে, নারী-শিশুর এত লাশ নাফ নদীতে ভেসে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের সীমান্তে ভয়ঙ্কর রকম বারুদের গন্ধ ভেসে আসে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মিয়ানমারের সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী। তারা আন্তর্জাতিক কোনো আবেদন নিবেদন শুনছেনা। মানবতার কথা তারা কর্ণপাত করেনি। মধ্যযুগীয় অন্ধকার বর্বরতা নেমে এসেছে রাখাইন রাজ্যে। এতদিন পর অং সান সুচির মন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। এখন আমরা দেখবো বাংলাদেশ সরকার কি করে? সরকার এখন রোহিঙ্গাদেরকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে ফেরত পাঠানোর কথা বলবে, নাকি সবকিছু ভুলে গিয়ে আবারো আতপ চাল চেয়ে বসবেন? এটাই দেশের মানুষের দেখার বিষয়।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনে আগ্রহী নয়। কারণ তারা কেউ সুষ্ঠু নির্বাচন চাননা। সর্বশেষ সম্প্রতি চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে স্থানীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই নূরুল হুদা (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) কমিশনকে বেছে নেয়া হয়েছে দলীয় নির্বাচন করার জন্য। কারণ তিনি কুমিল্লায় সরকারি চাকুরি করাকালে বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর করেছেন। তিনি জনতার মঞ্চের লোক ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী অ্যাজেন্ট ছিলেন। এ জন্যই আবারো হাসিনা মার্কা নির্বাচন করতেই নূরুল হুদাকে নির্বাচন কমিশনার বানানো হয়েছে।
‘অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ মিশনের গুরুত্ব’ শীর্ষক এই এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সুইডেন শাখা। সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক যুবদল নেতা মিজান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।