Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাস চলাচল বন্ধ : দুর্ভোগে যাত্রীরা

| প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শরীয়তপুরে বাস মালিক ও শ্রমিক সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ২০
শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা : শরীয়তপুরে বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রæপ ও শ্রমিক গ্রæপের সদস্যদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে। সংঘর্ষে ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বাসের সিরিয়াল দেয়া নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরের সাথে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শরীয়তপুর সদর থানার পুলিশ, শ্রমিক ও মালিকরা জানায়, সোমবার সকালে শরীয়তপুর পৌর বাস টার্মিনালে বাসের সিরিয়াল দেয়া নিয়ে বাস মালিক গ্রæপের সদস্য নাসির বেপারী ও শ্রমিক গ্রæপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদারের কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে মালিক ও শ্রমিক নেতাদের ঝগড়া হয়। এর সূত্র ধরে মালিক গ্রæপের কার্যালয়ে শ্রমিক সেলিম বেপারী, মোশারফ তালুকদার, মনির তালুকদার ও সুমন তালুকদারকে মারধর করা হয়। এ খবর শ্রমিকদের মাঝে ছরিয়ে পরলে তারা মালিক গ্রæপের কার্যালয়ে হামলা করে। তখন দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। এসময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র ব্যবহার করে। আহত ৮ শ্রমিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। শ্রমিকদের ছোড়া ইটে পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মাথায় আঘাত পান। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় থেকেই শরীয়তপুরের সাথে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। বাস মালিক গ্রæপের সাধারন সম্পাদক বাচ্চু বেপারী বলেন, বাসের সিরিয়াল দেয়া নিয়ে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। বিষয়টি মিমাংশার জন্য সমিতির কার্যালয়ে সভা চলছিল। হঠাৎ শ্রমিকরা আমাদের উপর হামলা চালায়। শরীয়তপুর বাস ও মিনিবাস শ্রমিক গ্রæপের সভাপতি ফারুক চৌকিদার বলেন, সামান্য একটি ঘটনা নিয়ে একজন বাস মালিকের সাথে শ্রমিক নেতার তর্ক হয়। এর জের ধরে মালিক সমিতির কর্মকর্তারা চারজন শ্রমিককে মারধর করে। তখন শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে যায়। পুলিশ ও মালিক সমিতি মিলে শ্রমিকদের মারধর করেছে। এ কারনে শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে।
শরীয়তপুর সদর পালং মডেল থানার পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন বলেন, বাসের সিরিয়ার নিয়ে মালিক ও শ্রমিকদেরর ঝগরা হয়। বিষয়টি সমোঝোতা করার জন্য পুলিশ উদ্যোগ নেয়। এমন সময় শ্রমিকরা হামলা চালায় বাস ভাঙচুর করতে থাকে। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে। সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বন্ধ বাস চলাচল চালু করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ