Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার জান্নাতুল নাঈমের বিয়ে ও অজানা কাহিনী

বিনোদন ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ থেকে মিসওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। তার নির্বাচিত হওয়া নিয়ে শুরুতেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়। প্রথমে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলেও আয়োজকরা মঞ্চেই তড়িঘড়ি করে জান্নাতুল নাঈমকে বিজয়ী ঘোষণা করে। অথচ বিচারকদের রায়ে জান্নাতুল নির্বাচিত হননি। হয়েছিলেন আরেকজন। যদিও আয়োজকরা নামের বিভ্রান্তির কারণে এমনটি হয়েছে বলে জানায় এবং জান্নাতুলই বিজয়ী বলে ঘোষণা করে। তবে কে এই জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল, তা নিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ঝড় উঠেছে। তার অতীত জীবনের নানা কাহিনী বের হয়ে আসছে। মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অবিবাহিত হওয়া অন্যতম শর্ত হলেও জান্নাতুল বিবাহিত। এ তথ্য তিনি গোপন করেছিলেন। তাছাড়া তার পরিবার সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছিলেন, তাও অসত্য। তিনি বলেছিলেন, ঢাকায় নিজেদের বাড়ি-গাড়ি রয়েছে এবং তার বাবা সিঙ্গাপুর থাকেন। বড় ভাইও বড় ব্যবসায়ী। এসব তথ্য যে তার মনগড়া ছিল, তা এখন বের হয়ে এসেছে। জান্নাতুল নাঈম বিবাহিত এবং অতি সাধারণ এক কৃষক পরিবারের মেয়ে। তার বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ৫ নয় বরমা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডে। তার বাবার নাম তাহের মিয়া। তারা দুই ভাই দুই বোন। জান্নাতুল সবার ছোট। চন্দনাইশ পৌরসভার কাজি অফিস থেকে পাওয়া কাবিননামা অনুযায়ী ২০১৩ সালের ২১ মার্চ চন্দনাইশ পৌর এলাকার বাসিন্দা ও কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুনজুর উদ্দিনের সঙ্গে জান্নাতুলের বিয়ে হয়। বিয়ের দেনমোহর ছিল ৮ লাখ টাকা। বিয়ের উকিল হন মেয়ের বাবা তাহের মিয়া। বিয়েতে কাজি ছিলেন আবু তালেব। একই বছরের ১১ জুন তালাকনামায় সই করেন জান্নাতুল। এলাকার লোকজন জানান, জান্নাতুল দুরন্ত ও চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন। চন্দনাইশের বরমা ত্রাহিমেনকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। ফলাফল প্রকাশের আগে ওই বছর ২১ মার্চ বেশ ধুমধাম করে একই উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুনজুর উদ্দিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। চন্দনাইশ পৌর এলাকায় অবস্থিত মুনজুরের কাপড়ের দোকানের নাম ভিআইপি ক্লথ স্টোর অ্যান্ড টেইলার্স। বরমা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (ইউপি মেম্বার) নওশা মিয়া জানান, জান্নাতুলের বিয়ে হয়েছিল। দুই-আড়াই মাস এই বিয়ে টেকে। জান্নাতুলের বাবা একসময় গাছের ব্যবসা করতেন। এখন টুকটাক কৃষিকাজ করেন। বরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, জান্নাতুল নাঈমের বিয়ে হয়েছিল। তবে সে সংসার বেশিদিন টিকেনি। সে বেপরোয়া জীবনযাপন করে বলে শুনেছি। জান্নাতুলের সাবেক স্বামী মোহাম্মদ মুনজুর উদ্দীন জানিয়েছেন, আমার সঙ্গে জান্নাতুল নাঈমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই মাস আমার বাড়িতে ছিল সে। তারপর বাপের বাড়িতে নাইওর যায়। নাইওর যাওয়ার দুদিন পর এক রাতে তার বাবা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, জান্নাতুলকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে খুঁজে বের করতে বলেন। জান্নাতুলকে খুঁজে বের করতে আমি রাজি হইনি। তিনি বলেন, পরদিন সকালে জান্নাতুল আমাকে ফোন করে বলে, আমাকে ডিভোর্স দাও, নইলে আমি তোমাকে ডিভোর্স দেব। ডিভোর্সের জন্য আমি এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেছি। পরে জান্নাতুলের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে দুই পক্ষের সমঝোতায় নগরের লালদীঘি পারের একটি হোটেলে আমরা যাই। সেখানে ২০১৩ সালের ১১ জুন কাজির উপস্থিতিতে জান্নাতুল এবং আমি সই করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটাই। আসলে জান্নাতুল আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমার মতো অন্য ছেলে যেন তার প্রতারণার শিকার না হয়।
ছবিঃ জান্নাতুল ও জান্নাতুল-ম্যারেজ (দুইটি ছবি পাশাপাশি যাবে)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ