Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধৃত দুই অপহরণকারী কারাগারে মুরাদনগরে বখাটেদের হাতে অপহৃতার চাচা হত্যা

| প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম



দেবিদ্বার (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের নোয়াখলা গ্রামে বখাটেদের হাতে অপহৃতা শাহনাজ আক্তারের চাচা ইয়াসিন মুন্সীকে (৪৮) হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত ঘটনায় জনতার হাতে আটক অপহরণকারী দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে বখাটে কাউছার আলম (৪০) ও হাসান খানের ছেলে বখাটে মনির খানকে (৩৩) পুলিশ গতকাল শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। নিহত ইয়াসিন মুন্সী একই গ্রামের মৃত লতিফ মুন্সীর ছেলে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে শাহনাজ আক্তার (১৪)-কে একই গ্রামের কাউছার আলমের নেতৃত্বে একটি বখাটে চক্র গত ১৮ আগষ্ট অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩০ আগষ্ট কুমিল্লার আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট দেবিদ্বার থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়। পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশ ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে শাহনাজ আক্তারকে উদ্ধার করে। এরই মধ্যে মামলা তুলে নিতে আসামিদের হুমকি-ধমকিতে শাহনাজ আক্তারের বাবা আনিছুর রহমান ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে পার্শ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের নোয়াখলা গ্রামে তার ভগ্নিপতি সফিকুল ইসলামের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। এদিকে মেয়েকে নিয়ে মামলার বাদী নোয়াখলা গ্রামে আছে জানতে পেরে অপহরণ মামলার আসামি বখাটে কাউছার আলম ও বখাটে মনির খান ওই গ্রামে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি দিয়ে আনিছুর রহমানকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। তখন আনিছুর রহমান বিষয়টি শ্রীপুর গ্রামে জানালে নিহত ইয়াসিন মুন্সী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, শাহজাহান মিয়া ও আব্দুল কাদেরসহ কতিপয় লোকজন নোয়াখলা গ্রামে আসে। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় উভয় পক্ষ মিলে শ্রীপুর গ্রামে যাওয়ার পথে নোয়াখলা গ্রামের আব্দুস সালামের বাড়ির পুকুর পাড়ে গিয়ে অপহরণকারী বখাটে কাউছার আলম ও বখাটে মনির খানসহ তাদের লোকজন ইয়াছিন মুন্সীর উপর এলোপাথারি কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার ইয়াছিন মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহত ইয়াছিন মুন্সীর স্ত্রী জান্নাত আক্তার বাদী হয়ে অপহরণকারী বখাটে কাউছার আলম ও বখাটে মনির খানের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতেই মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে।
মুরাদনগর থানার পুলিশ পুরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পূর্বের একটি অপহরণ মামলা থেকে ঘটনার সূত্রপাত। ধৃত আসামিরা ওই অপহরণ মামলারও পলাতক আসামি। স্থানীয় জনগণ সহায়তা করায় আসামিদের দ্রæত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ