Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্থাপত্যশিল্প ও সংস্কৃতির পীঠস্থান থিম্পু

| প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

একলাছ হক, থিম্পু (ভূটান) থেকে ফিরে
প্রাকৃতিক নৈসর্গের অন্যতম পুণ্যভূমি ভূটান। সুবিশাল হিমালয়ের কল্যাণে উঁচু পর্বতমালা, ঘন বনজঙ্গল, সবুজ ভ্যালি ভূটানের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের অর্ন্তগত। রাজধানী থিম্পু ছবির মতো সাজানো শহর। পাহাড়ের চুড়া থেকে থিম্পু শহরটিকে অপূর্ব লাগে। পারিপাট্যের অভাব নেই। ভূটান প্রকৃত অর্থেই নীরব, নির্জন। মানুষ বা যানবাহনের ভিড় একেবারেই নেই। পাহাড়ে পাহাড়ে সাজানো ছবির মতো দেশটির রাজধানীটিতে বিলাস বৈভবের কোনো চিহ্ন নেই। পাঁচতলার ওপর বাড়ি গড়ার অনুমতি নেই। বাড়িগুলো ভূটানি স্টাইলে তৈরি। খন্ড খন্ড পাথরের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে থিম্পু নদীর পানি। শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে থিম্পু নদী। চারদিকে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড় শহরটির অতন্দ্র প্রহরী হয়ে। থিম্পু ভূটানের পশ্চিম অংশে অবস্থিত দেশটির রাজধানী শহর। শহরটি হিমালয় পর্বতমালার উপত্যকায় অবস্থিত। থিম্পু শহরটি আশেপাশের উপত্যকা এলাকায় উৎপাদিত কৃষি দ্রব্যের একটি বাজার কেন্দ্র। এখানে খাবার ও কাঠ প্রক্রিয়াজাত করা হয়। থিম্পুতে ভূটানের রাজপ্রাসাদ এবং দেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ মন্দিরগুলির একটি অবস্থিত। ১৯৬২ সালে শহরটিকে দেশের স্থায়ী প্রশাসনিক কেন্দ্রে পরিণত করা হয়। বলা যায় সমস্ত ভূটানের সব থেকে আকর্ষণীয় এবং নান্দনিক সৌন্দর্যের অবস্থানই হলো এই থিম্পু। থিম্পু নদীর তীরে সিলভান ভ্যালিতে অবস্থিত এথনিক ভূটানিজ কলা, স্থাপত্যশিল্প, সংস্কৃতির পীঠস্থান। থিম্পু জং হলো শহরের প্রাণকেন্দ্র। ১৬৬১ সালে এটি তৈরি। এখানে আছে সরকারি ডিপার্টমেন্ট, দ্যা ন্যাশনাল এসেম্বলি, রাজার থ্রোন রুম এবং সেন্ট্রাল মনাষ্টিক বডির গ্রীস্মকালীন হেডকোয়ার্টাস। সিমতোখা জং ১৬২৭ সালে তৈরি এই জং থিম্পু ভ্যালির গেটওয়ে। থিম্পুর পুরনো এই জঙয়ে আছে রিগনে স্কুল ফর জঙঘা এ্যান্ড মোনাষ্টিক স্টাডিস। ফ্রেশকো এবং ¯েøট কার্ভিংস সিমতোখার বিশেষ আকর্ষণ। মেমোরিয়াল কর্টেন মূলত স্মৃতিস্তম্ভ। ভূটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দরজি ওয়াঙচুকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭৪ সালে এটি তৈরি হয়েছিলো। থিম্পুর মনোরম এবং নিরিবিলি রাস্তায় পায়ে হেঁটে বেড়ানোর মজাই আলাদা। দল বেধে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাতায়াত করে। দেখে মনে হয় সবাই যেন হাসিখুশি দুশ্চিন্তাহীন ভাবে চলাফেরা করছে। ভ্রমণকারীদের কেউ বিশেষ করে উইকএÐ মার্কেটে যায়। আর্ট ও ক্রাফট মিউজিয়াম, চাঙ্গলিমিথাঙ্গ স্টেডিয়াম দেশের জাতীয় ক্রীড়া তিরন্দাজী সেই দিকটাও দেখা যায় স্টেডিয়ামের ভেতরে। বুদ্ধাস পয়েন্ট বিশাল এক পাহাড়ের ওপর সোনালি বুদ্ধকে থিম্পু শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকেই দেখা যায়। বুদ্ধাস পয়েন্টে অনেক পর্যটক আসেন নিয়মিত। থিম্পু থেকে দুমাইল দূরে পাহাড়ের ওপর একটা ছোট্ট চিড়িয়াখানা। সেটাই ভূটানের ন্যাশনাল জু। ক্লক টাওয়ার, হস্তশিল্পের সারিবদ্ধ দোকানে স্থানীয় কারিগরদের তৈরি নানা দ্রব্য পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে সাদামাটা শহরটি পর্যটকদের নিকট অনেক পছন্দের। কোলাহল মুক্ত শান্ত নিবির পরিবেশ আকর্ষণ করে বিদেশি পর্যটকদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ