পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভুটানের রাজা জিগমে খেসার ন্যামঘায়েল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ গতকাল প্যারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে সেখানে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে প্রেসিডেন্ট এই বিমানবন্দরে পৌঁছেন। এ সময় তাকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিন্সু রায় চৌধুরী। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও তার পতœী রাশিদা খানমকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায় দুটি শিশু। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টকে খাধার্স (আনুষ্ঠানিক স্কার্ফ) প্রদান করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
পরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। বিমানবন্দরে উষ্ণ সংবর্ধনা জানানোর পর প্রেসিডেন্ট হামিদকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে থিম্পুস্থ তাজ তাশি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে তিনি এখানেই অবস্থান করবেন।
বিমানবন্দরের বাইরে রাস্তার দুই ধারে বাংলাদেশ ও ভুটানের ছোট ছোট পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে স্কুলের শিশুরা প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদকে স্বাগত জানান। আবদুল হামিদ তার গাড়ি থেকে নামেন এবং তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রেসিডেন্ট হোটেলে পৌঁছলে সেখানে তাকে স্বাগত জানান রাজকীয় প্রিভি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লিওনপো চ্যাংকিয়াব দর্জি।
এর আগে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। প্রেসিডেন্ট, তার পতœী রাশিদা খানম ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী দ্রুক এয়ারের একটি ফ্লাইট বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে তাকে বিদায় জানান অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, কূটনৈতিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং ঊর্ধ্বতন বেসরকারি ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সফরকালে প্রেসিডেন্ট আজ ভুটানের রাজার সঙ্গে বৌদ্ধ মঠ তারিশছোদজংয়ে এক বৈঠকে মিলিত হবেন। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট রাজার আমন্ত্রণে তার বাসভবন লিংকানা প্রাসাদে এক নৈশভোজে অংশ নেবেন। আবদুল হামিদ ভুটানের বর্তমান রাজার বাবা সাবেক রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুকের সঙ্গেও এক বৈঠক করবেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে গতকাল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার তাজ তাশি হোটেলে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও আগামীকাল (রোববার) বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সম্মানে লাংজুপাখা রাজকীয় দরবার হলে এক নৈশভোজের আয়োজন করবেন। প্রেসিডেন্টের এই সফরকালে ভুটানের জাতীয় আইনসভার স্পিকার লিয়োনপো জিগমে জাংপো, জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান সোনাম কিংগা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়োনপো ড্যামচো দর্জি পৃথকভাবে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রেসিডেন্ট আগামী সোমবার ভুটানের সংসদের যৌথ অধিবেশনেও ভাষণ দেবেন। আবদুল হামিদ কুয়েনসেলফোড্রাংও ডোকুলার মতো ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ পরিদর্শন করবেন। আশা করা হচ্ছে, এই সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় হওয়া ছাড়াও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতায় গতি সঞ্চারিত হবে। প্রেসিডেন্ট আগামী ৪ জুন দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র : বাসস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।