Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা কার্যালয়ের অফিস সহকারী পদে চাকরী দেওয়ার নামে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের শ্রী দিলীপ কুমারের ছেলে চাকরী প্রার্থী দ্বীপক কুমার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের সচিব, নাটোর জেলা প্রশাসক, নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দুর্নীতি দমন কমিশন, নাটোর পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। জানা যায়, উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের দরিদ্র শ্রী দিলীপ কুমারের ছেলে দ্বীপক কুমারকে সরকারী চাকরি দেওয়ার জন্য মাধনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন দেওয়ান ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা কার্যালয়ের দুলাল কুমার রায় নাম দিয়ে প্রকল্প পরিচালক উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুারে‌্যা মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প তেজগাঁও শিল্প এলাকা অফিসের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলার মোট ৩০ জনকে অফিস সহকারী পদে চাকরী দেওয়ার ভুয়া নামের তৈরি করা তালিকা দেখায় চাকুরী প্রার্থী দ্বীপক কুমারকে। তালিকায় নাম দেখে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দ্বীপক কুমার চুক্তি অনুযায়ী ৮ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা তার বাবা দিলীপ কুমার সহায় সম্ভল বিক্রি ও ধার দেনা করে চেয়ারম্যান আমজাদ দেওয়ানের বাড়িতে গিয়ে জমা দেয়। পরে দ্বীপক জানতে পারে তাদের দেখানো তালিকা সঠিক ছিল না। এনিয়ে কয়েক দফা সালিশ হলেও টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করলে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপির কাছে জানালে এমপি চাকরী দেওয়ার নামে নেওয়া সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিতে চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে ডেকে নির্দেশ দেয়। স্থানীয় এমপির নির্দেশনায় চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বিগত এক বছর তিন মাসে ৬ লক্ষ ৫ হাজার টাকার মধ্যে প্রতি মাসে কিস্তি হিসেবে ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয়। পরে আবার আরেক কিস্তি দিবে বলে চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন তার ইউনিয়ন পরিষদে দ্বীপকের পিতা দিলীপ কুমারেেক ডেকে টাকা না দিয়ে টাকা জমা দেওয়ার ডাইরী (প্রমানপত্র) কেড়ে নিয়ে হত্যা করে গুম করা অথবা সন্ত্রাস জঙ্গি তালিকায় নাম ঢুকিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় এবং পরবর্তর্ তে আবার টাকার দাবি করলে পরিবারসহ ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। মাধনগর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত পানেল চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন দেওয়ান চিকিৎসার জন্য এখন ভারতে অবস্থান করছেন। আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন দেওয়ান মাধনগর গ্রামের দিলীপের ছেলের চাকরী দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া প্রসংঙ্গে জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন দেওয়ান দিলীপ কুমারের ছেলেকে চাকরী দেওয়ার জন্য যে টাকা নিয়েছে তা প্রতি মাসে মাসে কিস্তি দিয়ে পরিশোধ করার কথা পর্যন্ত জানি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ