বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, সিনিয়র সহ-সভাপতি- মাওলানা শোয়াইব আহমদ গোপালগঞ্জী ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী এক বিবৃতিতে বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের সঙ্কট হচ্ছে নিজেদের মধ্যে অনৈক্য, হানাহানি। আর এ কারণেই অন্যান্য জাতি দ্বারা মুসলমানরা নির্যাতিত, অপমানিত, লাঞ্ছিত ও নিপিড়িত হচ্ছে। বর্তমানে বড় সঙ্কট হচ্ছে রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার জান্তা ও সন্ত্রাসী সুচি ও বৌদ্ধদের বর্বরতা ও জাতিগত নিধন। নেতৃবৃন্দ বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর বৌদ্ধরা অত্যাচার চালায়, ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর ইহুদিরা বর্বরোচিত হামলা চালায়, কাশ্মিরের মুসলিমদের উপর হিন্দুরা পাশবিক নির্যাতন চালায়, বসনিয়ার মুসলিমদের উপর খ্রিষ্টানরা নিষ্ঠুরভাবে নিপীড়ন করে তখন তার প্রতিবাদে জুমার দিনে এখানে ওখানে ভারত, আমেরিকা ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়, নিজেদের দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘাত হয়, নিজেদের দেশের বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করা হয়। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়না। এমতাবস্থায় জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত ৫ দফা প্রস্তাবই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে।
৫ দফা দাবীসমূহ হচ্ছে- দাবীগুলোর মধ্যে প্রথমত অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’ নিঃশর্তে বন্ধ করা, দ্বিতীয়ত অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করা, তৃতীয়ত জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান এবং এই লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত¡াবধানে সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা, চতুর্থত রাখাইন রাজ্য হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত সকল রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং পঞ্চমত কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রæত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এ আলোকেই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান প্রত্যক্ষ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে সেফ জোন সাময়িক সমাধান হলেও রোহিঙ্গাদের পৈতিৃক ভিটেমাটিতে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন ব্যাতিত কোন স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। পাশাপাশি জাতিসংঘ কর্তৃক অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারী এবং অবিলম্বে মিয়ানমারে আর্ন্তজাতিক শান্তি রক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করে বুঝা যায়, মুসলমানদের সকল সঙ্কটের জন্য মুসলমানরাই প্রকারান্তরে দায়ি। কাজেই এই সঙ্কট থেকে পরিত্রাণের জন্য এখন মুসলমান ও মুসলিম দেশগুলোকেই ভাবতে হবে। মুসলমানদেরকে বুঝতে হবে দুর্বলের উপর অন্যায়কারীরা অত্যাচার চালাবেই, আর একটা জাতি দুর্বল হয় অনৈক্যের কারণে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, আর তোমরা আল্লাহ ও উনার রাসুলের আনুগত্য করো। তোমরা পর¯পর বিবাদে লিপ্ত হয়ো না, তাহলে তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলবে এবং তোমাদের প্রভাব প্রতিপত্তি দূর হয়ে যাবে। মুসলমানরা মহান আল্লাহ পাকের এই নির্দেশ মানলে ইসলামের বিজয় অবসম্ভ্যবীয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।