Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাইবার ক্রাইম ঠেকাতে সচেতনতা জরুরি -প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা

| প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সাইবার ক্রাইম ঠেকাতে প্রত্যেককে সাইবার ডিফেন্স সৃষ্টি করার আহŸান জানিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, অপরাধীরা আমাদের দুর্বল পয়েন্টগুলোতে অ্যাটাক করে। এর সুরক্ষার জন্য দরকার জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। গতকাল (শুক্রবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইনফরমেশন সিস্টেমস অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের (আইসাকা) ঢাকা চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক খন্দকার বলেন, সাইবার ক্রাইম ঠেকাতে প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহাকারীর অনলাইন প্রতিরক্ষা তৈরি করতে হবে। আমরা সচেতন থাকলে অনেক ধরণের ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাই নয়, প্রত্যেক মানুষ সাইবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমাদের নিজেদের সাইবার সুরক্ষার জন্য স্ট্যান্ডার্ডগুলো কীভাবে ব্যবহার করব তা জানতে হবে। তিনি বলেন, ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার আসে, সেগুলো ক্লিক করলে ডিভাইসে স্টোর হয়। আমরা রিক্স আছে জানলে ম্যালওয়্যার অ্যাটাক থেকে মুক্ত হতে পারি। অনেক সময় আকর্ষণীয় ইমেজ দিয়ে হ্যাকাররা মেইল পাঠায়, ক্লিক করলেই অ্যাটাক করে। সচেতন থাকলে এগুলো থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। আমাদের নিজেদের সাইবার ডিফেন্স সৃষ্টি করতে হবে, নিজেদের ক্যাপাবিলিটি বিল্ডাপ করতে হবে। প্রাইভেট পাবলিক সবাই মিলে আমাদের দেশটাকে বাঁচাতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ হাসান বলেন, ২০০৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ২০১১ থেকে নরওয়ে এবং ২০১২ থেকে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ অক্টোবরকে ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস’ হিসেবে পালন করে আসছে। সাইবার দস্যুতা থেকে নিরাপদে থাকতে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি নেওয়া হয় এ মাসে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২০১৬ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অক্টোবর মাসটি পালনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আটটি সুপারিশ উপস্থাপনা করেন আব্দুল্লাহ হাসান। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, জনসচেতনতা তৈরি, এ ধরণের সামাজিক উদ্যোগে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা, সাইবার নিরাপত্তায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি, গণসেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার ঝুঁকি চিহ্নিত, সাইবার নিরাপত্তার কাজে দেশি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দেওয়া, গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রশিক্ষিত জনবল বাড়ানো ও ইন্টারনেটের আইপি লগ সংরক্ষণে তথ্যপ্রযুক্তি আইন হালনাগাদ করা।
সংবাদ সম্মেলনে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, সাইবার ক্রাইম না জানলে কীভাবে অ্যাওয়ারনেস করব। এখন দেশের ২০ ভাগ সাইবার অ্যাটাক হয় বাইরে থেকে আর ৮০ ভাগ অ্যাটাক হয় ইনসাইড অ্যাওয়ারনেসের অভাবে। অপরাধীদের স্ট্যাটাস বাড়ছে, সাইবার অপরাধীরা সবচেয়ে লেটেস্ট জ্ঞান রাখে; এজন্য অ্যাওয়ারনেস জরুরি। নিজেদের অ্যাওয়ারনেস ছাড়া সমাজের অ্যাওয়ারনেস হবে না, আর সমাজের অ্যাওয়ারনেস ছাড়া রাষ্ট্রীয় অ্যাওয়ারনেস হবে না। অনুষ্ঠানে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের আহŸায়ক কাজী মুস্তাফিজ, সংগঠনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ কাওসার উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ