Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে বাঁধন ও সনেটের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য

| প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিনোদন রিপোর্ট: ২০১০ সালে বিয়ে করেন অভিনেত্রী বাঁধন। প্রায় চার বছর সংসার করার পর ২০১৪ সালে তার সংসার ভেঙ্গে যায়। স¤প্রতি বাঁধনের স্বামী মাশরুর সিদ্দিকী সনেট বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন। বাঁধনও এ নিয়ে কথা বলেছেন। সনেট ডিভোর্সের কারণ স¤পর্কে বলেন, বিয়ের পর আমি বাঁধনকে নিয়ে গুলশানে উঠি। সেটি ছিলো আমার ভাড়া বাসা। তখনও বুঝতে পারিনি আমি একটা কৌশলী মেয়ের ফাঁদে পড়েছি। কিছুদিন যেতে না যেতেই ও বললো, আমি আর অভিনয় করবো না। প্রতি মাসে আমাকে ১ লাখ টাকা হাত খরচ দিতে হবে। আমি বললাম, অভিনয় করবে না কেন? তুমি অভিনেত্রী বলেই তোমাকে আমার ভালো লেগেছিলো। অভিনয়টা চালিয়ে যাও। আর সংসার তো আমি চালাচ্ছিই। তোমার সব চাহিদাও মেটাচ্ছি। যখন যতো টাকা লাগে দিচ্ছি। প্রতি মাসে আলাদা করে ১ লাখ টাকা কেন দিতে হবে? উত্তরে সে বললো, এটা তার লাগবেই। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সে থেকে ঝামেলার শুরু। সনেট বলেন, বাঁধন প্রচÐ লোভী একটি মেয়ে। ও ভেবেছিলো আমি বিরাট শিল্পপতি। টাকা দিয়ে আমি ওকে মুড়িয়ে রাখবো। এজন্যই সে আমাকে বিয়ে করেছিলো ফাঁদে ফেলে। কিন্তু আদতে অতোবড় শিল্পপতি বা কিছু আমি নই। দীর্ঘদিন আর্মিতে চাকরি করেছি। যা কিছু সঞ্চয় করেছি তাতে কিছু ব্যবসা করে মধ্যবিত্ত জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। বিয়ের পর বাঁধন যখন দেখলো আমি ওর স্বপ্নের মতো নই তখন থেকেই ও হতাশ। প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা চায়, আমার ব্যবসায়ে পার্টনারশিপ চায়। আমি বলতাম, যা কিছু আমার সবই তো তার। সে বিশ্বাস করতো না। সে আসলে খুবই লোভী। ওর পরিবার ছাড়া কেউই এই মেয়েটাকে পছন্দ করে না। ওর আত্মীয়দের সঙ্গে আপনারা যোগাযোগ করুন, জানতে পারবেন বাঁধন মানুষ হিসেবে কতটা নিচু মানের। মিডিয়াতেও অনেকে বাঁধনের বিষয়ে জানে। আমার কাছে অনেক অভিযোগই এসেছে বিয়ের পর। আমি পরে জেনেছি আগেও সে একটি বিয়ে করেছিলো। সেই সংসার থেকে অনেক অর্থকড়ি নিয়ে চলে এসেছিলো। মেয়েটাকে বিয়ে করার আগে বুঝতেই পারিনি ও এমন হতে পারে। যখন ও বাচ্ছা নিলো দ্রæত, ভেবেছিলাম সংসারটা মন দিয়ে করবে। কিন্তু সে আর হলো কই। টাকা পয়সা নিয়ে সবসময়ই আক্ষেপ করতো, লোভ করতো। আর তা নিয়েই হতো বিরোধ। এদিকে বাঁধন বললেন স¤পূর্ণই ভিন্ন কথা। তিনি দাবি করেন, আমি কখনোই সনেটকে শিল্পপতি ভাবিনি, সেসব ভেবে বিয়েও করিনি। এটা আমাদের চারপাশের সবাই জানে। ও আসলে ব্যর্থ একজন পুরুষ ও স্বামী। সংসার চালাতে সমর্থ ছিলো না। মাসের ১৫ তারিখ যেতে না যেতেই বলতো হাতে টাকা নেই। সংসারটা কীভাবে চলে? আমাকে বলতো অভিনয় করো। কিছু টাকা আসবে। খুব রাগ লাগতো তখন। আসলে ও টাকা রাখতে পারতো না। তাই আমি বলতাম, টাকা আমার হাতে দেবে। আমি খরচ করবো। যেকোনো স্ত্রীই এটা বলতে পারে যদি সেই মেয়ে জানতে পারে যে তার স্বামী সংসার চালাতে অক্ষম। আগের বিয়ে প্রসঙ্গে বাধন বলেন, ও প্রচÐ মিথ্যেবাদী একটা লোক। ওকি জানতো না যে আমার আরেকটা বিয়ে হয়েছিলো ওর আগে। অবশ্যই জানতো। কেননা, আমি নিজে তাকে সেটি বলেছিলাম। আমি একজন অভিনেত্রী। চাইলেও নিজের জীবেনর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো লুকাতে পারি না। কোনো না কোনোভাবে জেনে যায় সবাই। এই যে আমি এত চেষ্টা করলাম বিচ্ছেদ লুকিয়ে রাখতে মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে, সেটি কী পেরেছি? পারিনি। তবে কেন বিয়ের কথা লুকাবো আমি। ওকে বলেছিলাম আগের বিয়ের কথা। আমাদের বিয়ের পর গণমাধ্যমে নিউজও হয়েছে, আমার ও সনেটÑ দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। সে ভুলে গেলেও পত্রিকার আর্কাইভে কিন্তু রয়ে গেছে সব। বাঁধন আরও বলেন, সংসার খরচের টাকা-পয়সা নিয়েই প্রথম ঝামেলা হয় এই দ¤পতির। সে থেকে মনোমালিন্য করে বাবার বাড়ি চলে যান বাঁধন। এটি বিয়ের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই। অবশেষে পারিবারিক মধ্যস্থতায় আপোষ হলে বাঁধনের বাবার বাড়িতেই গিয়ে উঠেন সনেট। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না এই সংসারের। ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট সনেটের কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়ে আবেদন করেন বাঁধন।



 

Show all comments
  • Mizanur Rahman Bablu ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৫৫ এএম says : 0
    বিয়ের পর দিন থেকে অপেক্ষায় থাকি শুনবো বিয়েতে বিচ্ছেদ ।
    Total Reply(0) Reply
  • তানবীর ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:৪৬ পিএম says : 0
    এগুলো নিয়ে নিউজ না করাই ভালো
    Total Reply(0) Reply
  • hena ৬ অক্টোবর, ২০১৭, ৮:২৩ পিএম says : 0
    what a life !!!!! so shame
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ