Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এমপি ও জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে বরিশালে হোটেল ধর্মঘট প্রত্যাহার

| প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল মহানগরীতে হোটেল রেস্তোরা ও সুইটমিট মালিক সমিতি টানার ২০ ঘণ্টা পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি এবং জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানের সঙ্গে বরিশাল হোটেল রেস্তোরা ও সুইটমিট মালিক সমিতি নেতৃবৃন্দের ফলপ্রসু আলোচনার প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি বিশ্বজিত ঘোষ। র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক অতিরিক্ত অর্থদÐ দেয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সমিতি গত বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে আকষ্মিকভাবে নগরীর হোটেল রেস্তোরা এবং মিষ্টির দোকানে ধর্মঘট শুরু করে।
সংগঠনের সভাপতি বিশ্বজিত ঘোষ বিশু বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি হোটেল রেস্তোরা ও সুইটমিট মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোন মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে না বলে আশ্বস্ত করেন। পাশাপাশি মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে যাবে বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই বৈঠকে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানও হোটেল রেস্তোরা ও সুইটমিট মালিকদের বিভিন্ন দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বিশ্বজিত ঘোষ বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার আগে হোটেল রেস্তোরা ও সুইটমিট মালিক এবং কর্মচারীদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা, অস্বাভাবিক জরিমানা না করা, জরিমানার টাকা পরিশোধের উপযুক্ত সময় দেয়া এবং অভিযানের সময় একজন খাদ্য বিশেষজ্ঞ রাখার তারা দাবি করেছেন ।
তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি জানিয়েছেন, হোটেল রেস্তোরা ও সুইটমিট মালিক সমিতি জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবং অযথা হয়রানি করা হবে না এমন প্রতিশ্রæতি পাওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, হোটেল রেস্তোরা ও সুইটমিট মালিক সমিতিকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, হঠাৎ করে আর কোথাও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে না। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দন্ড দেয়া হয়েছে তারা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটÑএডিএম আদালতে আপীল করলে তা বিবেচনা করা হবে। এদিকে র‌্যাব-৮ কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ গাউসুল আজম জানান, কোন প্রতিষ্ঠানকেই অতিরিক্ত অর্থদÐ করা হয়নি। আইনের মধ্য থেকেই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। শুধু দন্ড দেয়া নয় হোটেল রেস্তোরা এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের সচেতনও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ