Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারত ও চীনের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করুন -মির্জা ফখরুল

কক্সবাজার ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৬ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক তৎপরতার পাশাপাশি জাতীয় ঐক্য তৈরি করে এই সঙ্কট সমাধানের জন্য চেষ্টা করারও আহবান করেছেন তিনি। গতকাল বৃৃৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং- এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিদেশীদের দেয়া ত্রাণ নিয়ে সরকার বাহবা নিতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে রোহিঙ্গাদের কোন ত্রাণ দেয়নি। বিদেশীদের ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছে।
তিনি বলেছেন, গত এক মাস ধরে বিএনপি ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মেডিকেল টীম স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সরকার আন্তরিক নয়। বরং রোহিঙ্গা ইস্যুকে পুজি করে নোবেল পেতে প্রচারণা শুরু করেছে। জনগণ এসব বোঝে। মির্জা ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যখন আমরা জাতীয় ঐক্যের আহবান করি তখন সরকার তাচ্ছিল্য করে। দেশনেত্রীর ডাকে তারা ষড়যন্ত্রের আভাস পান। এমনকি সরকারের একটি বাহিনী প্রধান এনিয়ে নেতিবাচক বক্তৃতা দেয়। এখন সরকার মত পাল্টিয়েছে। জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে বলে সরকারী দলের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন। ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বিরোধী দল। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। এরপরও বিএনপি বসে নেই। অসহায় আর্তমানবতার সেবায় আমরা কাজ করছি। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি কর্মীরা ত্রাণ নিয়ে ছুটে আসছে। রোহিঙ্গা নিয়ে আমরা রাজনীতি করছিনা। সরকারই দলীয় রাজনীতি করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘসহ বিশ্ব স¤প্রদায় রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রতিবাদ ও বিবৃতি দিলে সরকার নড়ে উঠে। এতে ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে যেমন জাতীয় ঐক্য জরুরী। ঠিক তেমনিভাবে তাদের নাগরিকত্বসহ ফেরত পাঠাতেও মায়ানমারে উপর চাপ সৃষ্টি করতে জাতীয় ঐক্যের দরকার হবে। একই সাথে যে সমস্ত দেশ বা স¤প্রদায় গণহত্যায় মিয়ানমারকে সমর্থন জানিয়েছে তাদের সাথে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। ফখরুলের মতে, রাশিয়া এবং চীনের সাথে আরো অনেক কূটনৈতিক যোগাযোগ জোরদার করতে হবে। এই জন্য বিশেষ দূত পাঠাতে হবে। প্রয়োজনের প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা পরিষদে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের গণহত্যার প্রাক্কালেও বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি করেছে। না করলেও পারতো। প্রয়োজনে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া থেকেও চাল আমদানি করা যেতো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরওয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, শরীফুল আলম, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস ইউং এর সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুপ বদরী, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি পৌর প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম, পৌর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক রাশেদ মু. আলী প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দল তা জনসন্মুখে প্রমাণিত হয় না । তারা একটি ধর্মীয় মুখোশ পরে আছে। তারা বিভিন্ন ফ্যাসাদ নিয়ে চলে। যারা বিভিন্ন ধর্মীয় দর্শণে বিশ্বাশী তাদের কাউকেই তারা সঠিকভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে দেয় না। আজকে বিভিন্ন জায়গায় সনাতন ধর্ম বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ধর্মের লোকদের উপসানালয়গুলো দখল করা হয়েছে , ভেঙে ফেলা হয়েছে। এমনকি কোথাও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে । দেশে গনতন্ত্র নেই বলে এটা সম্ভব হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে দুর্গা পুজা উপলক্ষে লোকজনকে আসতে পুলিশ দিয়ে বাঁধা দেয়া হয়েছে । আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই । তিনি গতকাল(বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের মির্জাপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে দুর্গা পুঁজা মন্ডব পরিদর্শনকালে এই কথা বলেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বরকত উল্লাহ ভুলু,বিএনপির কেন্দ্রিীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাজী নাজিম উদ্দিন, বিএনপির কেন্দ্রিীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ দেওয়ান সালাহ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল কবীর পল প্রমুখ ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ