রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার ভেস্তে যেতে পারে কার্যক্রম
পীরগাছা (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুরের পীরগাছায় গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের নামে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। ফলে সরকারের নেয়া এ প্রকল্পের কার্যক্রম ভেস্তে যেতে বসেছে। গুচ্ছগ্রামটিতে বর্তমানে ৪০ টি পরিবার বসবাস করলেও পাশে আরো ৩০ টি পরিবারের বসবাসের জন্য গুচ্ছগ্রামটিতে মাটি ভরাট ও ঘর নির্মানের কাজ চলছে।
সরেজমিনে গুচ্ছগ্রাম এলাকা ঘুরে জানা যায়, উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের জুয়ান গ্রামে ৪ একর জমির উপর সরকার ৪০ টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে দেয়। বর্তমানে গুচ্ছগ্রামটির পাশে আরো ৩০ টি পরিবারের বসবাসের জন্য ১২০ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য ব্যয়ে মাঠ ভরাট ও প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মানের কাজ চলছে। প্রকল্পের শুরুতে মাটি ভরাট করা হলেও তা বসবাসের উপযোগি নয়। প্রকল্পের পাশে নাম মাত্র বালু উত্তোলন করে প্রকল্পের জায়গা ভরাট করা হয়। যে কোন সময় বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী। এদিকে নাম মাত্র মাটি ভরাট করে প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া সমুদয় খাদ্য শস্য আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। বসবাসের অনুপযোগী স্থানটিতে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যায়ে ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। এসব ঘর নির্মাণে উপজেলা প্রশাসন নি¤œ মানের গৃহ সামগ্রী দিয়ে অবকাঠামো তৈরীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উক্ত প্রকল্পের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদাধিকার বলে সভাপতি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সদস্য সচিব হবেন। কিন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা না থাকায় সহকারী কমিশনার(ভূমি) দুটি পদের দায়িত্বে থাকায় ইচ্ছা মত প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নি¤œ মানের রড,এ্যাঙ্গেলসহ অন্যান্য গৃহ সামগ্রী ক্রয় করে অবকাঠামো তৈরীর কাজ চালিয়ে আসছেন। তদারকীর দায়িত্বে নিজে থাকায় উপজেলা পরিষদের ভিতরে অবকাঠাম্ োনির্মাণের কাজ করাচ্ছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ এসব নি¤œ মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে অবকাঠামো তৈরী করা হলে নাম মাত্র অর্থ ব্যয় হবে। এবং যে কোন মহুর্তে দূর্ঘটনার আশংকা দেখা দিতে পারে। শুরু থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবান কার্যালয় তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে আসছেন। পূর্বের ন্যায় নতুন প্রকল্প থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য একটি মহল এ প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছে। বর্তমানে গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত ব্যক্তিদের জন্য মৌলিক চাহিদাগুলোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ এর নিকট প্রকল্পের কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাটের কাজ শেষ। এখন ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অদাঃ) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম জানান, প্রকল্পের কাজ সঠিক নিয়মে চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।