Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সমস্যা ও সম্ভাবনায় ডুবি শরিয়ত উল্লাহ দাখিল মাদরাসা

| প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নিকলী (কিশোরগঞ্জ) থেকে মো. হেলাল উদ্দিন : কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চল সিংপুরের ডুবি গ্রাম। সে গ্রামের মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ও পাশাপাশি ইসলামি মুল্যবোধ অর্জনের জন্য ১৯৮৬ সালে মাওলানা শামছুদ্দিন নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় প্রতিষ্টা করেন ডুবি শরিয়ত উল্লাহ দাখিল মাদ্রাসা।
গ্রামের চারদিকে প্রবাহমান নদী। গ্রামের দশ-পনের কিলোমিটারের ভেতরে আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। হাওর এলাকায় যোগাযোগ বিছিন্ন এ গ্রামে মাত্র একটি করে প্রাইমারি স্কুল, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ও হেফজখানা রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাইমারি স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় দাখিল মাদ্রাসায়। দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি প্রতিষ্টানের ভবন ও শিক্ষক।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় তিন কক্ষের একটি ভবন রয়েছে। আর প্রতিষ্ঠাকালের সেই ছোট টিনের ঘর। সে সব ঘরে গাদাগাদি করে বসে প্রতিদিন ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা। বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোন আশ্রয় কেন্দ্র নেই এ গ্রামে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক সমস্যা হলে গ্রামের মানুষের আশ্রয় নিতে হবে এ ভবন টিতে। প্রায় ৫৫০ জন ছাত্র/ছাত্রীকে ১৪ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দ সুনামের সাথে পাঠ দান করে আসছেন। ইবতেদায়ি সমাপনী, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফল কাংক্ষিত মানের। মাদ্রাসার দাখিল দশম শ্রেণীর মোশারফ, মাজহারুল, নবম শ্রেণীর ময়না, সানি, ৮ম শ্রেণীর আকরাম, শারমিন, ৭ম শ্রেণীর নুরে রাফিয়া, মুনি, ৬ষ্ঠ শ্রেনির ইলাল ও আদিবার সাথে কথা হলে তারা ইনকিলাবকে জানান, আমাদের ক্লাসে রুমে জায়গা, ট্রয়লেট, বেঞ্চ, কমন রুম, মাল্টিমিডিয়া ল্যাব, আইসিটি শিক্ষক ও মনন বিকাশে খেলার মাঠের প্রকট সংকট রয়েছে। তার পরেও আমরা কষ্ট করে শিক্ষা গ্রহন করছি।
এলাকার লোকজনের সাথে মাদ্রাসার শিক্ষা নিয়ে কথা হলে তারা জানান, এ মাদ্রাসায় লেখা পড়ার মান ভালো। কিন্তু অবকাঠামো সংকট প্রকট। যদি এ মাদ্রাসা না হত তবে আমদের এলাকার ছেলে মেয়েরা আজীবন মুর্খতার অভিশাপ নিয়ে বেছে থাকতে হত। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দেয়া তথ্য নিয়ে সুপার মাওলানা আমিনুল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা শামছুদ্দিন জানান, মাদ্রাসার নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হবে। আমাদের স্থানীয় এমপি আলহাজ আফজাল হোসেন আমাদের এলাকায় এসেছিলেন এবং আমাদেরকে বলে ছিলেন মাদ্রাসার নতুন ভবন ও মাঠের জন্য মাটি ভরাট করে দিবেন। আমারা সে অনুযায়ী বিভিন্নভাবে কাজ করে চলছি, বাকি আল্লার ইচ্ছা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ