রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নরসিংদী থেকে সরকার আদম আলী : চালসহ শাকসবজীর তীব্র সঙ্কটের বাজারে উঁকি দিয়েছে নতুন মৌসুমী ফল জলপাই। তবে টক ফল এই জলপাই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। বাজারে এক কে.জি জলপাই বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। দাম শুনে সাধারণ মানুষের চোখ কপালে উঠে যাচ্ছে। জলপাই’র সহযোগী শবজী কচুর ছড়ির দাম ৪০ টাকা কে.জি। জলপাইয়ের কে.জি ২০০ টাকা শুনে ক্রেতা সাধারণ হতভম্ব হয়ে যাচ্ছে। ভুলে যাচ্ছে ছড়ির খাট্টা খাবার কথা। এ যেন জলপাইয়ের গায়ে আগুন।
কৃষিবিজ্ঞানীদের মতে জলপাইয়ের উৎপত্তির স্থল হচ্ছে ভ‚মধ্য সাগরীয় অঞ্চল। পরবর্তীকালে এই জলপাই এশিয়া ও ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। নরসিংদী ও গাজীপুরসহ বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলেই জলপাই উৎপন্ন হয়। কাঁচা-পাকা দুই অবস্থায়ই জলপাই খাওয়া যায়। দেশের কৃষি পরিবারগুলো জলপাই দিয়ে অম্বল রান্না করে খায়। গুড়া মাছ, কচুর ছড়ি ও জলপাই দিয়ে তৈরি খাট্টা বা খাটাই বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় খাবার। বড় মাছ বা মাছের মাথা দিয়ে কচুর ছড়ির ডাল খুবই সুস্বাদু খাবার। লম্বা বেগুন, মাছ এবং জলপাইয়ের অম্বলও বেশ জনপ্রিয় খাবার। কাঁচা জলপাই সিদ্ধ করে গুড়ের সংমিশ্রণে তৈরি চাটনি খুবই মুখরুচক খাবার। পাকা জলপাই লবণ দিয়ে বেটে বা হাতে মেখে চটকিয়ে আচার তৈরি করে খাওয়া যায়। এ ছাড়াও জলপাইয়ের রয়েছে বহুবিধ ব্যবহার। আজকাল ফুড প্রসেসিং কোম্পানিগুলো জলপাইয়ের আচার তৈরি করে ব্যবসা করছে। গ্রামের মহিলারা কাঁচা জলপাই কেটে রোদে শুকিয়ে রেখে দেয়। অভাবের সময় এ শুকনো বা ডি-হাইড্রেট জলপাই অম্বল রান্না করে খায়। ভ‚মধ্য সাগরীয় অঞ্চলে জলপাইকে বলা হয় জয়তুন। সেখানে জয়তুন বা জলপাইয়ের বিচি থেকে তেল তৈরি করা হয়। এই জলপাই বা জয়তুনের তেল খুবই দামি এবং জনপ্রিয়। তবে সেখানকার জলপাই ও এশিয় অঞ্চলের জলপাইয়ের মধ্যে জাতগত তফাৎ রয়েছে। তা ছাড়া জলপাইয়ের পানি খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। খাবার আগে পানির জগে কয়েকটি জলপাই ফেলে দিলে ঘণ্টা দুয়েক পর এর স্বাদ পাল্টে যায়। তখন পানি খুবই সুস্বাদু হয়। মৌসুমের শুরুতে জলপাইয়ের দাম প্রতি বছরই বেশি থাকে। তবে এ বছর বেশির চেয়েও বেশি। অন্যান্য বছর মৌসুমের শুরুতে এক কে.জি জলপাই বিক্রি হতো ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এ বছর জলপাই বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কে.জি দরে। যে বছর জলপাই বেশি উৎপাদিত হয়, সে বছর জলপাইয়ের দাম ১০ টাকা কে.জি দরে নেমে আসে। তখনই গ্রামের মানুষ জলপাই কিনে আচার তৈরি করে। সে আচার সারা বছর খেয়ে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।