Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লক্ষীপুর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে মিনারেল ওয়াটার

স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ

প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:০০ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

এস এম বাবুল (বাবর), লক্ষীপুর থেকে : লক্ষীপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে ফিল্ডার পানি। প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন থাকলেও বোতল বা জারে ব্যবহার হচ্ছে না বিএসটিআইয়ের লোগো। এসব প্রতিষ্ঠান নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে নির্বিগ্নে চালিয়ে যাচ্ছে মিনারেল ওয়াটার প্রক্রিয়াকরণ। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স থাকলেও তাদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও অত্যাধুনিক ল্যাবের ব্যবস্থাও নেই। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রক্রিয়া করা এ পানি পান করে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে লক্ষীপুরে শহরসহ গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ। পড়ছে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। সারকারী-বেসরকারী অফিস, আদালত, ব্যাংক-বীমাসহ জেলা শহরের বিভিন্ন খাবার হোটেলসহ গ্রামগঞ্জে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার পানি বাজারজাত করছে এসব প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ল²ীপুর সদর উপজেলার খিলবাইছা নামক স্থানে তাজ ড্রিংকিং ওয়াটার, বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় ন্যাশনাল ড্রিংকিং ওয়াটার ও রামগতি সড়কের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় মারিয়া ড্রিংকিং ওয়াটার নামে এসব প্রতিষ্ঠানে পানি থেকে আর্সেনিক মুক্ত, বোতলজাত করতে হাত ব্যবহার না করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বোতলজাত করার কথা থাকলেও তা মানছেনা। প্রতিষ্ঠানে পানি প্রক্রিয়া করা হচ্ছে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। বোতলে নেই কোনো মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ, তাছাড়া ব্যবহার করা হচ্ছে না বিএসটিআই লোগো। অন্ধকারাচ্ছন্ন ল্যাব, নেই কোনো বাল্ব। কক্ষে প্রবেশের সময় পা পরিষ্কার করে প্রবেশ করার কথা থাকলেও তা মানছেনা কর্মচারীরা। তাছাড়া সুযোগ বুঝে সরাসরি মিটার থেকে পানি বোতলজাত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে এসব ড্রিংকিং ওয়াটার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
এদিকে জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনুমোদন বিহীন টেস্টি ড্রিংকিং ওয়াটার ও চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকায় মুন ড্রিংকিং ওয়াটার নামের প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে তাদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে একদিকে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অন্য দিকে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
ন্যাশনাল ড্রিংকিং ওয়াটারের স্বত্ত¡াধিকারী আমিনুল ইসলাম জানান, লক্ষীপুরে ন্যাশনাল ড্রিংকিং ওয়াটার সরকারের নিয়মনীতি অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। বাকী ড্রিংকিং ওয়াটারগুলো অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। অথচ এসব বিষয়ে প্রশাসনের কোনো হস্তক্ষেপ না থাকায় এবং বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে নির্বিগ্নে এসব প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত পানি বাজারজাত করছে।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) সহকারি পরিচালক (চট্রগ্রাম বিভাগ) মোস্তাক আহম্মদ জানান, লক্ষীপুরে খাওয়ার পানি সরবরাহকারী ৪টি প্রতিষ্ঠান তাদের কাছে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিল। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির উপস্থিতি ও বিশুদ্ধতার মাত্রা পরিমাপ করে এর মধ্যে লাইন্সেস দেয়া হয় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে। অন্য ১টি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে লাইসেন্স না পেয়েও অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ