Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একমাসেও উদঘাটন হয়নি হত্যা রহস্য : আসামিরা অধরা

চুনারুঘাটের ইমান আলী হত্যাকান্ড

| প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : মাধবপুরে খুন হওয়া চুনারুঘাটের ইমান আলী (৩০) হত্যার ১ মাস ৮ দিনেও কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি মাধবপুর তেলিয়াপাড়া ফাঁড়ির থানা পুলিশ। নিহত ইমান আলীর পরিবারে এখনও চলছে শোকের মাতম ও আহাজারি। আসামিদের গ্রেফতার ও ঘটনার কোন ক্লু উদ্ঘাটন করতে না পারায় নিহতের পরিবারে অস্বস্তি বিরাজ করছে। নিহত ইমান আলী চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাও ইউপি’র আব্দুর রহিমপুর গ্রামের খুর্শেদ আলীর পুত্র ও মিরাশী নতুন বাজারে কম্পিউটার দোকান ব্যবসায়ী ছিল। পরে এ ব্যাপারে নিহত ইমান আলীর স্ত্রী বাদী হয়ে ২ জন সহ অজ্ঞাতানামা আসামিদের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত ইমান আলী চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী বাজারে একটি কম্পিউটার দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। গত ২১ আগষ্ট সোমবার বিকালে চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের মাখন মিয়ার পুত্র পনির মিয়া (২৫) ও রানীগাঁও ইউনিয়নের বারইউড়া গ্রামের টেনু মিয়ার পুত্র উস্তার মিয়া (২৮) এর সহিত ইমান আলী বাড়ি থেকে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল যোগে বাহির হন। কিন্তু ওই দিন রাত সাড়ে ৮টায় ইমান আলী তার স্ত্রীকে ফোন করে জানায় যে সে মাধবপুর উপজেলার মনতলা মকসুদের বাড়িতে আছি, ফোনে কথা বলার পর রাতে ইমান আলী আর বাড়িতে ফিরেনি। পরদিন ২২ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে অনুমান ৯টার দিকে ইমান আলীর সাথে যাওয়া পনির মিয়ার স্ত্রী সাবানা বেগম ইমান আলীর বাড়িতে এসে জানায় যে, সাতছড়ি পাহাড়ে ইমান আলীর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ইমান আলীর পিতা সহ আত্মীয়-স্বজনরা ইমান আলীকে খুঁজতে গেলে খবর পান যে, মাধবপুর থানাধীন তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সুরমা চা বাগানের ২০নং সেকশনের ফয়জাবাদ এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ইমান আলীর পরিবারের সদস্যগণ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে ইমান আলীর লাশ সনাক্ত করে ইমান আলীর গলায় রশি বাধার দাগ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। এ বিষয়ে ২৩ আগষ্ট নিহত ইমান আলীর স্ত্রী হেলেনা বেগম বাদী হয়ে চুনারুঘাট উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের মাখন মিয়ার পুত্র পনির মিয়া (২৫) ও রানীগাঁও ইউনিয়নের বারইউড়া গ্রামের টেনু মিয়ার পুত্র উস্তার মিয়া (২৮) সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ইমান আলী হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের আছিপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের পুত্র আব্দুল খালেককে স্থানীয় লোকজন চুনারুঘাট বাজারে আটক করে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর থানা পুলিশ তাকে হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করে। এদিকে ইমান আলী হত্যাকান্ডের ১ মাস ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ হত্যাকান্ডের কোন ক্লু উদ্ঘাটন করতে পারেনি। মামলার এজাহার নামীয় আসামিরাও রয়ে গেছে অধরা।


অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে
যুবক-যুবতীর অর্থদ
সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর সৈয়দপুরে অসামাজিক কার্যকলাপের জড়িত থাকার দায়ে হাসনাত (৩২) ও লাবন্য (২৫) নামে যুবক-যুবতীকে প্রত্যেকের ১০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার রাতে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ মাহবুব-উল ইসলাম ওই রায় দেন। সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, সৈয়দপুর শহরের বাস টার্মিনাল এলাকার কাঙালুপাড়ার আজিজার মুহুরীর বাড়ি থেকে ওই যুবক-যুবতীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে এলাকাবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ