বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : আহত ছাত্রীদের চিকিৎসা ব্যয় ও অভিভাবকদের নিকট ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে শিবপুরের বহুল আলোচিত ছাত্রী নির্যাতনকারী প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান বাছেদের কথিত বিচার প্রক্রিয়া। গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিকভাবে এই কথিত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৫ দিনেও বিভাগীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষা প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন আনুষ্ঠানিক তদন্তও করেননি। কথিত বিচার অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের কেউ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়নি। পক্ষান্তরে কথিত বিচার প্রক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান, সাধারচর ইউপি চেয়ারম্যান স্বপনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে চা বিস্কুটের মাধ্যমে কথিত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিকেল ৪ টায় দই মিষ্টি ও শরবতের মাধ্যমে আনন্দ ফুর্তি করে বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান বাছেদের মধ্যে অপরাধ সুলভ কোন প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। দীর্ঘ সময়ই তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রাণবন্ত এবং হাসি খুশী। তবে নির্যাতিতা ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ছিল দীর্ঘ মৌনতা। ছিল ভয়ার্ত চেহারা। বিচারে সন্তুষ্ট না হলেও ভয়ে সবাইকে বিচার মেনে নিতে হয়েছে। কথিত বিচার কার্য শেষ হবার পরই এলাকায় এ নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সচেতন জনগন এ বিচারকে প্রহসন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারা বলেছে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয়। কাজেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে এর বিচার করা বাঞ্চনীয় নয়। এটা পরিপূর্ণ প্রশাসনিক ব্যাপার। শিক্ষা প্রশাসন বিষয়টি বিভাগীয়ভাবে বিচার করবেন এটাই স্বাভাবিক। এখানে প্রধান শিক্ষকের ব্যক্তিগত চরিত্র তার যোগ্যতা এবং সরকারী আইন ভঙ্গ করার বিষয় রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।