পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম আ স ম হান্নান শাহ দলের দু:সময়ের কান্ডারি ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে তথাকথিত ১/১১ সেনাসমর্থিত তত্ত¡বধায়ক সরকার এমনকি বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা ছিলেন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। শুধু তাই নয় যখনই জিয়া পরিবার, বিএনপি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের শিকার হয়েছে তখনই হান্নান শাহ অকুতোভয় বীরের মতো তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। বর্তমানে দু:সময়ে তার মতো অকুতোভয় লোকের খুবই দরকার।
গতকাল (বুধবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ গাজীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ ও ঢাকাস্থ ফেনী জাতীয়তাবাদী পরিষদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম আ স ম হান্নান শাহ এবং চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মেজর (অব.) সাঈদ এস্কান্দারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা হয়। গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছায়েদুল আলম বাবুলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল, হান্নান শাহ’র ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান, বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, হাসান উদ্দিন সরকার প্রমুখ। সভায় অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম, আমিরুল ইসলাম আলিম, বেলাল আহমেদ, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সেলিম, ওলামা দলের সাবেক সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন, বর্তমান সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান ফকির, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মমতাজ উদ্দিন রেনু, ছাত্রদলের সহসভাপতি লিংকন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শখার সিনিয়র সহ সভাপতি সদস্য রুহুল আমিন, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল মালেক।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, যখনই বিএনপি এবং জিয়া পরিবার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের শিকার হয়েছে ঠিক তখনই অকুতোভয় বীরের মতো তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন আ স ম হান্নান শাহ। দলের ভয়ঙ্কর সঙ্কটের সময় তিনি অকুতোভয় বীরের ভূমিকা পালন করেছে। ওয়ান ইলেভেনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেকেই যখন নিজেকে রক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন আ স ম হান্নান শাহ তখন বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ জন্য তাকে জেল জুলুম সহ্য করতে হয়েছে।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, হান্নান শাহর সাথে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৮৪ সালে রাজশাহী কারাগারে। তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কারাবরণ করলে তাকে বন্দী করে রাজশাহী কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আমি তখন ছাত্রনেতা হিসেবে রাজশাহী কারাগারে বন্দী ছিলাম। তিনি কারাগারের ডিআইজির মাধ্যমে আমাকে খবর দিয়ে দেখা করতে বলেন। আমি সেদিন বিস্মিত হয়েছিলাম তিনি আমাদের খোঁজখবর নিয়ে দেখা করায়। এরপর থেকে তিনি আমার অভিভাবকের মতো দায়িত্ব পালন করেন।
রিজভী বলেন, দলে অনেক সুবিধাবাদী নেতা থাকে যারা দু:সময়ে দলের পাশে থাকেন না। তারা শুধু সুবিধা নিতেই দল করেন। কিন্তু হান্নান শাহ ছিলেন দলের দু:সময়ের কান্ডরি। বর্তমানে বাংলাদেশে যে ভয়ঙ্কর দু:শাসন চলছে, যেভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চলছে হান্নান শাহর মতো দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের আজ খুবই দরকার ছিল। মওলানা ভাসানী যেমন বলতেন খামুস, তিনি বেঁেচ থাকলে গর্জে উঠতেন মিয়ানমারের বর্বরতার বিরুদ্ধে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।