মাঝ-আশ্বিনে নরম শীতের পরশ নেই। আছে ভ্যাপসা গরম। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত রোদ-বৃষ্টির খেলা। আরও দু’তিন দিন এহেন অস্বাভাবিক আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। সাময়িক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী রোববার পর্যন্ত। এরপর ধীরে ধীরে আবহাওয়ার ‘স্বাভাবিক’ পালাবদল ঘটতে পারে। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি কোথাও ভারী বর্ষণ হয়েছে। তবে দেশের অধিকাংশ জায়গায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাতও হয়নি। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় ফেনীতে ১২০ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩ মিমি। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রংপুরে ৩৫.৫ ডিগ্রি সে.। ঢাকায় ৩২.৫ ডিগ্রি সে.। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি (ঢাকায় ৮৭%) হওয়ার কারণে ঘামে-গরমে মানুষ গরমকালের মতো কাহিল হচ্ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং।
আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পরবতী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
মৌসুমি বায়ুর একটি বলয় তৈরি হয়ে আছে ভারতের উত্তর-প্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা থেকে আসাম হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, অরুণাচল, সিকিম, নাগাল্যান্ডে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রসহ ভারী বর্ষণ হচ্ছে। তা আরও দু’তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।