Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাড়ে ১২ শতাংশ শিশু জন্ম নেয় অন্ধত্বের ঝুঁকি নিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 বাংলাদেশে সাড়ে ১২ শতাংশ নবজাতকই অন্ধত্বের ঝুঁকি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। কারণ এদের প্রত্যেকেই শিশু-অন্ধত্বের জন্য দায়ী রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি)-তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইডবিøউএমজিএল সম্মেলন কক্ষে গতকাল বুধবার আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিশু অন্ধত্ব প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য তুলে ধরেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর যে ৩১ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করে তার মধ্যে প্রায় ৪ লাখের জন্ম হয় অপরিপক্ক অবস্থায় এবং এবং এসব নবজাতক আরওপিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। তাদের মতে, জন্মের এক মাসের মধে চোখের পরীক্ষা করালেই কেবল এ সমস্যা ধরা পড়ে।
কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের সহযোগিতায় ডেইলি সান ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত এ আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর এএইচএম এনায়েত হোসেন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রধান ও ন্যাশনাল আই কেয়ারের পরিচালক প্রফেসর গোলাম মুস্তফা এবং চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিশু বিভাগের প্রফেসর ফরহাদ হোসেন, ডেইলি সানের নির্বাহী সম্পাদক শিয়াবুর রহমান, ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের উপদেষ্টা নাফিসেহ ইস্পাহানি এতে বক্তব্য রাখেন। ডেইলি সান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সঞ্চালন করেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনির আহমেদ।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, যেসব শিশু ২ দশমিক ৭৫ পাউন্ডের কম ওজন নিয়ে এবং গর্ভে আসার ৩১ সপ্তাহের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে তারাই আরওপিতে আক্রান্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আরওপি-তে আক্রান্ত শিশুর দুটি চোখই নষ্ট হয় এবং বিশ্বজুড়ে এটিই শিশু-অন্ধত্বের বড় কারণ।
পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে এখন ৪০ হাজার শিশুসহ মোট ৭ লাখ অন্ধ ব্যক্তি রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সুযোগ সুবিধার উন্নতি হয়েছে, তবে আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অনেক অভাব রয়েছে। বর্তমানে দেশে মাত্র ১ হাজার চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন, যা ১৬ কোটি মানুষের জন্য খুবই অপ্রতুল।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে শহর এলাকার চক্ষু চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো থকলেও গ্রামীণ এলাকায় এখনো ভালো নয়, তবে সরকার জেলা ও উপজেলাগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করার জন্য কাজ করছে। টাকা ছাড়া চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাবে না উল্লে করে তিনি আরো বলেন, বাজেটে বরাদ্দ আরো বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে ৫৩ হাজার কোটি টাকা আমরা ব্যয় করেছি। এখন আমাদের সরকার নতুন করে স্বাস্থ্য খাতে আরো ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে পরবতী ৫ বছরের জন্য।
চক্ষুরোগীদের কম দামে চশমা প্রদানের জন্য অরবিসের কাট্রি ডিরেক্টর মনির আহমেদ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে চশমার উপর ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে, তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি জানতেন না এবং এনবিআর’র সাথে এ বিষয়ে কথা বলে পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বাস দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ