Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মীরসরাইয়ে রহস্যজনক সুড়ঙ্গ নিয়ে আতঙ্ক!

| প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : মীরসরাই উপজেলার ২ নং হিঙ্গুলী ইনিয়নের ধুল্লাছরা নামক পাহাড়ী এলাকায় একটি রহস্যজনক সূড়ঙ্গ পাওয়া হেছে। প্রায় আড়াই ফুট প্রস্থের এই সুড়ঙ্গটি দেখতে উৎসুক জনতা ইতিমধ্যে ভিড় জমাচ্ছে সেই। উৎসুক জনতা ১৫ থেকে ২০ ফুট ভেতরে প্রবেশ করলে ও ভয়ে বাকি পথ যায়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়। তবে প্রশাসন এই বিষয়ে আতংকিত না হলে ও ফেসবুক সহ সর্বত্র এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ মাধ্যম সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের বানে বিড়ম্বনাময় পরিস্থিতির মুখোমুখি এলাকাবাসী। রহস্যময় এই গুহা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর সর্বমহলে উৎসাহ ও আলোচনার অন্তঃ ছিল না। সর্বশেষ শেষ বিকেলে সরকারের বিশেষ বিভাগের জনৈক প্রত্যক্ষদর্শি পর্যবেক্ষক জানান এটি একটি ভাল্লুকের গর্ত। সর্বোচ্চ ২৫ ফুট দীর্ঘ এই গর্ত। এই গর্ত দিয়ে ঢুকে আবার সেই মুখ দিয়েই বেরুতে হয়। আর কোন মুখ নেই এই গর্তের।
দক্ষিণ অলিনগর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পূর্বে (আকবর নগর থেকে আরো ৩ কিলোমিটার) ধুল্লাছরা নামক এক পাহাড়ে এই সুড়ঙ্গ। যা স্থানীয়রাই প্রথমে দেখতে পায়। কেউ বলছে গোপন জঙ্গি আস্তানা হবার সম্ভাবনা। আবার কেউ বলছে পুরাতন কোন সুড়ঙ্গ। ইতিমধ্যে উৎসুক মানুষ প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত ভিতরে যেতে সক্ষম হয়েছে। বাকি পথ যেতে কেউ সাহস করছেনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ভিতরে আরো পথ আছে। দৈর্ঘের পরিমান কতোটুকু তা কেউ বলতে পারছে না। সুড়ঙ্গের ভেতরে কিছু প্রতি ১০ ফুট পর দুই-তিন জন মানুষ বসার স্পেস রয়েছে। আড়াই ফুট প্রস্থের এই সুড়ঙ্গে বসার স্পেস গুলোতে ৪-৫ ফুট করে জায়গা। সূড়ঙ্গ পাওয়া ছোট্ট টিলাটির আসেপাশে উপজাতি পাহাড়ী জনগোষ্টির বসবাস ও রয়েছে। আবার দূরে বিচ্ছিন্ন ভাবে বাঙ্গালী বাড়ী ও রয়েছে। এই বিষয়ে ১নং করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন এবং ঘটনাস্থল এলাকার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন। উভয় চেয়ারম্যান শুধু বললেন আমরা ও ফেসবুকে ছবি দেখে প্রশাসন সহ লোকজনের তোড়জোড় থেকে জেনেছি। তবে কোন মন্থব্য করতে পারছি না। এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, উপজাতিরা পাহাড়ে দীর্ঘপথ ছোট করার জন্য অনেক সময় ছোট সুড়ঙ্গ পথ তৈরী করে। তবে এই গর্তটি অতি ছোট। একজন মানুষ অনেক কষ্টে ভেতরে প্রবেশ করতে পারলে ও আবার কষ্ট করেই বেরুতে হবে। তিনি বলেন ইতিমধ্যে সরকারের বিশেষ গোয়েন্দা বিভাগের জনৈক পর্যবেক্ষক ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে এসে জানিয়েছেন একমাত্র ভাল্লুকই এমন গর্ত করে থাকে নিরাপদ আবাসস্থলের জন্য। মানুষ সেখানে কোন ভাবে অবস্থান করার মতো স্পেস নেই। এরপর ও বিষয়টি নিয়ে আমাদের একটি টিম তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে। শীঘ্রই আমরা সকল রহস্যের অবসান ঘটাতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ