Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছোট ফেনী নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন বিস্তীর্ণ জনপদ

প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:৫৯ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সোনাগাজী (ফেনী) উপজেলা সংবাদদাতা : ছোট ফেনী নদীর অব্যাহত ভাঙনে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার উত্তর চর সাহাভিকারী, চর মজলিশ পুর, পশ্চিম চর দরবেশ, চর চান্দিয়া গ্রাম। দাগুনভুঁইয়া উপজেলার সালাম নগর, নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মুচাপুর, চর পারবর্তি গ্রাম, স্কুল, মাদ্রাসা,মসজিদ আশ্রয়ান কেন্দ্রসহ বহু জনপদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জানা যায়, ফেনী সদরের (আংশিক) সোনাগাজী, দাগুনভুঁইয়া। নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ, সেনবাগ, কুমিল্লার চৌদ্দ গ্রাম, লাঙ্গল কোর্ট, বরুড়া সহ বিস্তীর্ন অঞ্চলে সমুদ্রের লোনা জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা,নদী ভাঙন ও অধিকফসল উৎপাদনের লক্ষে ১৯৬৭-৬৮ সালে ছোট ফেনী নদীর উপর কাজির হাট নামক ২০ গেইট বিশিষ্ট একটি ¯øুইজ গেইট নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৬০ সালে তৎকালিন সরকার জোয়ারের লোনাপানি থেকে রক্ষার জন্য বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করেন। পানি ও নোয়াখালী পানি উন্নোয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ঐদাশিনতা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের নামে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক দুনীতির কারনে ২০০০ সালে কাজির হাট ¯øুইসগেট টি নদী গর্ভে বিলীন ও বেড়ি বাঁধটি জীর্নশির্ণ হয়ে পড়ে। ২০০৪ সালে ছোট ফেনী নদীতে কাজির হাট ¯øুইজ গেইটের ২০ কিলোমিটার পিছনে মুচাপুর নামক স্থানে ২৩ গেইট বিশিষ্ট অন্য একটি রেগুলেটরের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালীতে এক জনসভায় এসে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত মুচার ক্লোজারের ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে নির্মাণ কাজের সমাপ্তি ঘোষনা করলে ও এখনো নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
গত রোববার সরজমিনে জানা যায়, ফেনী জেলার দাগুনভুঁইয়া উপজেলার, সালাম নগর। কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার চর পার্বতি, মুচাগ্রাম, সোনাগাজী উপজেলার ৭ টি গ্রামে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী পানি উন্নোয়ন বোর্ডের নির্বাহী পকৌশলী কহিনুর জানান, ইতিমধ্যে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে নোট পাঠিয়েছি তবে কাজির হাট ¯øুইজ গেইট থেকে মুচাপুর রেগুলেটর পর্যন্ত দেখা শুনার দায়িত্ব নোয়াখালী পানি উন্নোয়ন বোর্ডের। বহু চেষ্টা করে ও নোয়াখালী পানি উন্নোয়ন বোর্ডের নির্বাহীকে পাওয়া যায় নি। এলাকাবাসী জানান, নদী ভাঙন রোধ করা না হলে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে মুচাপুর ক্লোজারের কোন সুফল আসবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ